নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেট মহানগর তাঁতীদলের নতুন আহ্বায়ক কমিটির নেতৃত্ব ‘আওয়ামী দোসরের হাতে চলে গেছে’ অভিযোগ করে ত্যাগী নেতাদের নিয়ে এই আহ্বায়ক কমিটি পুনর্গঠনের দাবি জানানো হয়েছে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর/২৮ অগ্রহায়ণ) সিলেটের একটি অভিজাত হোটেলে আহুত এক সংবাদ সম্মেলনে মহানগর তাঁতীদলের নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিলেট মহানগর তাঁতীদলের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উল কয়েস।
তিনি জানান, ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর আব্দুল গফ্ফারকে সভাপতি ও ফয়েজ উল কয়েসকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত সিলেট মহানগর তাঁতীদলের কমিটিকে অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় তাঁতীদল। এই কমিটি বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে সবসময় সোচ্চার ছিল। নেতৃবৃন্দ হামলা-মামলার শিকার হয়ে কারাবরণ করেও দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন। এখন সবাই সিলেট-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয় থাকা অবস্থায় হঠাৎ গত ৮ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মহানগর তাঁতীদলের ৬৯ সদস্য বিশিষ্ট নতুন আহ্বায়ক কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হয়। আগের অনুমোদিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির ‘স্থবিরতা ও অবহেলা’র কারণ দেখিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ বিতর্কিত কয়েস আহমদকে। আর সিনিয়র যুগ্মআহ্বায়ক ও সদস্যসচিব করা হয়েছে যথাক্রমে জসীম উদ্দিন ও আমিনুল হক বেলালকে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জনৈক ফয়েজ আহমদ দৌলতের মাধ্যমে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আর কিছু জানার থাকলে ফয়েজ আহমদ দৌলতের নিকট থেকে যেন জেনে নেওয়া হয়।
ফয়েজ উল কয়েস জানান, পূর্ণাঙ্গ কমিটি বহাল থাকা অবস্থায় কারো সাথে কোনো যোগাযোগ না করে ফয়েজ আহমদ দৌলতের অগঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ কমিটির সিনিয়র যুগ্মআহ্বায়ক জসীম উদ্দিন আগের কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক হলেও তিনি তখন নিষ্ক্রিয় ছিলেন। তাকে কোন যোগ্যতায় সিনিয়র যুগ্মআহ্বায়ক করা হয়েছে তা বোধগম্য নয়।
তিনি জানান, বর্তমান আহ্বায়ক কয়েস আহমদ একজন ‘আওয়ামী দোসর’। তার বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের একাধিক মামলাও রয়েছে। এসবের প্রমাণ উপস্থাপন করার পরও তার হাতে ত্যাগী নেতাকর্মীদের দায়িত্ব তুলে দেওয়া তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ত্যাগকে তিরস্কারের শামিল বলেই তারা মনে করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মোক্তাদিরের প্রতি ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি স্থগিত করে বিভিন্ন ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মাধ্যমে তৃণমূলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মূল্যায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর তাঁতীদলের সভাপতি আব্দুল গফ্ফার, সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হাদ বকস রাক্কু, সহসভাপতি তাজ উদ্দিন লিলু, ২৩ নম্বর ওয়ার্ড তাঁতীদলের সভাপতি মো মোজাহের আলী, ৭ নম্বর ওয়ার্ড আহ্বায়ক মো জালাল উদ্দিন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড আহ্বায়ক এনাম খান, ১২ নম্বর ওয়ার্ড আহ্বায়ক হানিফ আহমদ প্রমুখ।