ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড আব্দুন নাসের খান বলেছেন, প্রবাসীরা এদেশের গর্ব ও হৃৎস্পন্দন। তারা দূর প্রবাসে থেকেও হৃদয়ে লাল সবুজের পতাকা ধারণ করেন। তারা নিজেদের ঘাম, শ্রম আর ভালোবাসা দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখেছেন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর/১২ পৌষ) সিলেট মহানগরীর কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে জেলা প্রশাসন আয়োজিত প্রবাসী সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদান সম্পর্কে প্রধান অতিথি বলেন, ”প্রবাসীরা বিদেশে থেকে অক্লান্ত পরিশ্রম করে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে আমাদের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন৷ তারা সারাবছর যে অর্থ পাঠান সেটিই এদেশের অর্থনীতির রক্তপ্রবাহ। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সে মায়ের মুখে হাসি ফুটে, সন্তানের মনে পড়ালেখার আলো জ্বালিয়ে দেয় আর এদেশের অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখে। শুধু রেমিট্যান্স নয়, তারা ভালোবাসা পাঠান, আশার আলো জোগান।”
সচিব বলেন, প্রবাসীদের গর্ব বাংলাদেশ আর বাংলাদেশের গর্ব প্রবাসীরা।
প্রধান অতিথি প্রবাসীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মাননা প্রদান, প্রতিবছর কিছু প্রবাসীকে ‘ডিস্টিঙ্গুইশ বাংলাদেশী এক্সপাট্রিয়েট’ পদক দেওয়া, প্রবাসীদের জন্য এক্সক্লুসিভ বিনিয়োগ অঞ্চল গড়ে তোলা, প্রবাসীদের জন্য স্মার্ট সিটি গড়ে তোলা ও প্রবাসীদের করমুক্ত ব্যবসায়ের সুবিধাসহ স্মার্ট ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরির জন্য পরামর্শ দেন।
সিলেটকে একটি আধুনিক ও উন্নত নগরীতে রূপান্তরের লক্ষ্যে প্রবাসীদের বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বক্তারা বলেন, সিলেটকে লন্ডনের মতো উন্নত বানাতে যা যা করা দরকার, তা করা হবে। সিলেটকে সেভাবে গড়তে হলে দেশে বিনিয়োগ করতে হবে।
প্রবাসীরাই সে দায়িত্ব নিবেন বলে আশাবাদ প্রকাশ করেন তারা। পাশাপাশি প্রবাসীদের নিরাপত্তাসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেবার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
প্রবাসীদের অবদানের কথা উল্লেখ করে বক্তারা আরও বলেন, ”রেমিট্যান্স আমাদের দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। প্রবাসীরা বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের পতাকাকে মর্যাদার আসনে পৌঁছে দিয়েছেন।”
সিলেট জেলা প্রশাসক মো সারওয়ার আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো রেজা-উন-নবী, পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী, পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম, প্রবাসী ব্যক্তিত্ব ড ওয়ালি তছর উদ্দিন ও ব্যারিস্টার নাজির আহমদ।
এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত প্রবাসী, সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন৷
এর আগে সকালে সার্কিট হাউজ থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে শেষ হয়। এবছর নির্ধারিত সময়ে সম্মাননা পাওয়ার জন্য বিশ্বের ১১টি দেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের থেকে ৫৮২টি আবেদন জমা পরে। এর মধ্যে ড ওয়ালি তছর উদ্দিন, ব্যরিস্টার নাজির আহমদ, স্পিকার আয়াজ মিয়া, ব্যারিস্টার কুতুবউদ্দিন সিকদার ও ইকবাল আহমেদসহ মোট ১০৩ জনকে ৬ ক্যাটাগরিতে সম্মাননা প্রদান করা হয়। তথ্য বিবরণী/পিআইডি সিলেট