বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে

  • আপডেট টাইম : February 08 2025, 07:58
  • 21 বার পঠিত
বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে

সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেছেন, মানুষের মনের ভাব প্রকাশের সব চেয়ে বড় মাধ্যম হলো মুখের ভাষা। দেশে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ কানে শুনতে পায়না-কথাও বলতে পারেনা। তাদের বলা হয় বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী। তাদের যোগাযোগের মাধ্যম হলো ইশারা ভাষা। ২০১২ সালের ২৬ জানুয়ারি সরকারের অন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ৭ ফেব্রুয়ারিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘বাংলা ইশারা ভাষা দিবস’ হিসাবে নির্ধারণ করা হয়।
তিনি আরো বলেছেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও সুরক্ষা আইন-২০১৩ তে প্রমিত বাংলা ইশারা ভাষা প্রণয়ন ও উন্নয়নে প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম গ্রহণ এবং হাসপাতাল, আদালত, থানা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব জায়গায় ইশারা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। তাই বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
শুক্রবার ৭ (ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন, জেলা সমাজসেবা কার্যালয় এবং প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র আয়োজিত বাংলা ইশারা ভাষা দিবসের আলোচনা সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছিলেন।
জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হকের সভাপতিত্বে এবং স্পেশাল স্কুল ফর চিলড্রেন উইথ অটিজমের শিক্ষক মৃত্তিকা দাশ ও থেরাপি সহকারী মোবারক হোসেনের যৌথ সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, পুলিশ পরিদর্শক এনামুল হক চৌধুরী, রহমানিয়া প্রতিবন্ধী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি আতাউর রহমান খান সামছু, গ্রীণ ডিসএ্যাবল্ড ফাউন্ডেশনের সভাপতি বায়েজিদ খান, সিলেট বধির সংঘের সভাপতি জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এম আহমদ আলী, সরকারি মুক বধির বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শাহিনুর আলম, সিলেট বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোরাইয়া নাসরিন প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ শংকর রায়। ইশারা ভাষা উপস্থাপন করেন, সরকারি বাক শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মো সানা উল্লাহ।-সংবাদদাতা

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর