নিজস্ব প্রতিবেদক : এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ফখর উদ্দিনকে চাঁদা না দেওয়ায় জলারবন রাতারগুলে পর্যটকবাহী নৌকা থেকে পুলিশ ও সাংবাদিকদের নামে চাঁদা আদায়ের অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ করা হয়েছে।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার রাতারগুল গ্রামের মাঝিরা সোমবার দুপুরে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মাঝিদের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে মিনহাজ উদ্দিন বলেন, কিছুদিন আগে ফখর উদ্দিন রাতারগুল ঘাটে পর্যটকবাহী নৌকা থেকে প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করলে মাঝিরা তা দিতে অস্বীকার করেন। এরপর ইউপি মেম্বার ও তার অনুসারী আব্দুর রশিদ, আরমান আলী, মনশাদ উদ্দিন, আব্দুল আহাদ, কামরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ মিয়া, আব্দুল ওয়াহিদ, আইযুব আলী, আব্দুল মতিন, আব্দুল মালিক, কয়ছর আহমদ, শরিফ উদ্দিন ও জুবের আহমদ বাগবাড়ি ও রামনগর গ্রামে রাস্তায় রাতারগুলগামী পর্যটকবাহী গাড়ি আটকে চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন। এ ব্যাপারে মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাগবাড়ি গ্রামের আব্দুর রশিদ ফখর উদ্দিনের ইন্ধনে নৌকার মাঝিদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলেছেন।
তিনি আরও জানান, ফখর উদ্দিন তার লোকজন দিয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঘাটে আসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লাঞ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় রাতারগুল গ্রামের কেউ জড়িত নয়।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, এই জলারবনে তিনটি ঘাট রয়েছে। এর মধ্যে রাতারগুল ঘাটে ১৩২টি নৌকা চলাচল করে। এর মাধ্যমে ৩শ পরিবার জীবিকা নির্বাহ করছে; কিন্তু করোনার কারণে রোজগার কম। এই অবস্থায় রামনগর গ্রামের চৌরঙ্গী ঘাটের ২৬টি নৌকা এই যুক্ত করার দাবি তুলেছেন ফখর উদ্দিনের লোকজন। অথচ তারা চৌরঙ্গী ঘাটে রাতারগুল গ্রামের কোন মাঝিকে নৌকা চালাতে দেয়না। মূলত সেই ঘাটে পর্যটক বাড়াতে রাতারগুল ঘাটে পর্যটকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে।
মিনহাজ উদ্দিন জানান, রাতারগুলবাসী সুখে-দুঃখে যুবলীগ নেতা জুবায়ের আহমদকে পাশে পান। তিনি আগামী নির্বাচনে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হবেন। এ কারণে ফখর উদ্দিন তার বিরুদ্ধেও অপপ্রচার চালাচ্ছেন। অথচ রাতারগুলের কোনো ঘাটে জুবায়ের আহমদের কোন নৌকা নেই।
ফখর উদ্দিন ও তার লোকজন সিলেটের মানসম্মান ও ভাবমূর্তিতে আঘাত হেনেছেন বলে অভিযোগ করে অবিলম্বে সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে প্রশাসনের প্রতি তিনি জোর দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, রাতারগুল গ্রামের সোনা মিয়া, আব্দুল কাদির, বিলাল, খালেদ এবং দেওয়ানেরগাঁও এলাকার কয়ছর ও ফখরুল ইসলামসহ অনেকে।