নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়নের পাড়ুয়া গ্রামের কয়েকটি পরিবারের সদস্যদের চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির কারণে একই এলাকার ৫টি মহল্লাবাসীর জীবন অতীষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এ ব্যাপারে একের পর এক অভিযোগ এমনকি মামলা করেও এই চক্রকে থামানো যাচ্ছে না।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে পাড়ুয়া এলাকাবাসী এ অভিযোগ করেন। এতে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, পাড়ুয়া গ্রামের আফজাল হোসেন।
তিনি জানান, গত ২৯ জুন পাড়ুয়া লামাপাড়া গ্রামের কাজল মিয়ার ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী রোকসান মিয়া সিলেটে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শওকত আলী বাবুল সহ এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেন, যা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার সামিল। শওকত আলী বাবুল একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারের সদস্য। তার পিতা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও দাদা পাকিস্তান আমলে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রোকসান মিয়া সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, ২৫ জুন রাতে ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি হারুন মিয়া ও তার ছেলে রুহেল মিয়া হামলার শিকার হয়েছেন। অথচ হারুন মিয়া বিএনপির কোনো নেতা নন। হামলার সাথে এলাকাবাসীর কোনো সম্পৃক্ততাও নেই।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে পাড়ুয়া গ্রামের বাসিন্দা সামসু মিয়া ওরফে জল্লাদ ও তার ভাই হারুন মিয়ার পরিবারের সদস্যদের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ। হারুন মিয়া ও রোকসান মিয়ার পরিবার সহ কয়েকটি পরিবার নানা অপরাধে জড়িত। সামসু মিয়া ওরফে জল্লাদ মিয়া এক সময়ে কুখ্যাত ডাকাত ছিলেন। তার ভাই হারুন মিয়ার নেতৃত্বে একের পর এক বাড়িতে চুরি, ডাকাতি ও রাস্তায় ছিনতাই চলছে।
এ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে গত কয়েক মাসে সংঘটিত কিছু ঘটনার উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগ করা হয়, ৫ আগস্টের পর স্থলবন্দরের মালামাল লুটে এ ‘চক্র’ জড়িত ছিল।
তাদের নানা অপরাধের অভিযোগ তুলে সর্বশেষ গত ২৩ জুন গণস্বাক্ষরে স্থানীয় প্রশাসনে অভিযোগ দাখিল করা হয়।
এর আগে বিভিন্ন সময়ে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশের নিকট অভিযোগ দাখিল করা হয়; কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আনু মিয়া, ইলিয়াস আলী, সিরাজুল ইসলাম, মানিক মিয়া, সামছু মিয়া, আল আমিন, মিজানুর রহমান, মো জিলানী, মো সুফি, নাজমুল হোসেন শাওন প্রমুখ।