মো. আয়মান আহমেদ, দিরাই : তুষ্টি তালুকদার। হাওরপাড়ের এই কিশোরী ইতোমধ্যেই ‘ধামাইল কন্যা’ খ্যাতি কুড়িয়ে নিয়েছে।
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের খাগাউড়া গ্রামে জন্ম তার। বাবা রমা তালুকদার। মা ঝর্ণা তালুকদার। ছোটোবেলা থেকেই সে গানের প্রতি আকৃষ্ট ছিলো। নিজের মতো করে তাকে গান গাইতে দেখা যেতো।
‘রতনে রতন চিনে’ বলে একটা কথা আছে। আর এ সত্য চিরন্তন বলেই তুষ্টি তালুকদার চোখে পড়ে যায় ধামাইল সংগঠক ও সুনামগঞ্জের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পিকলু সরকারের। একদিন তিনি তাকে দিয়ে ধামাইল গান গাওয়ানোর পরীক্ষাও নিয়ে নেন। তাতে সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয় সে। সেখান থেকেই তার সংগীত জীবনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
পিকলু সরকারের প্রেরণা ও পরিচর্যায় দ্রুত বিকশিত হতে থাকে তুষ্টি তালুকদারের প্রতিভা। তার নেতৃত্বে গড়ে উঠে ধামাইল গানের নতুন দল ‘ললিতা ধামাইল’। এরপর ঘন ঘন সাংস্কৃতিক আসরে ডাক পেয়ে সে সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে শুরু করে নানা মঞ্চ মাতাতে থাকে।
জাতীয় পর্যায়েও প্রথম স্থান অর্জন করেছে তুষ্টি তালুকদার। তার গাওয়া, ‘আমি কৃষ্ণ কোথায় পাই গো’ ইউটিউবে ৭ মিলিয়নের বেশি দর্শক-শ্রোতাকে আকৃষ্ট করেছে। এছাড়া, ‘উঠান ধামাইলে সুর নদীর কিনারে, গৌর রূপে পাগল করলো আমারে’ গানেও তার দর্শক-শ্রোতা মিলিয়নের ঘর ছাড়িয়ে গেছে।
এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ফলাফলের অপেক্ষায় থাকা তুষ্টি তালুকদার সুনামগঞ্জের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নতুন আশার আলো জ্বালিয়েছে। তার স্বপ্ন, গানকে নিয়েই আগামীর পথচলা। এই সুরেলা পথিক একদিন বিশ্বময় পরিচিতি পাবে-শুভানুধ্যায়ীরা তাই প্রত্যাশা করেন।