সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগের মধ্য দিয়েই একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়। ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনলেই রাষ্ট্রের চিত্র বদলে যাবে।
তিনি আরও বলেছেন, প্রকৃত সংস্কার কেবলমাত্র তখনই সম্ভব যখন জনগণ ক্ষমতায়ন পাবে। রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে জনগণের শক্তির ওপর—কোনো রাজনৈতিক দল, কর্পোরেট গোষ্ঠী কিংবা একক কোনো ব্যক্তির ওপর নয়। বর্তমানে দেশের সর্বস্তরে ধান্ধাবাজ ও সুবিধাভোগীদের দখলদারিত্ব চলছে। এই বাস্তবতা থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হলো সৎ, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা।
শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেলে দক্ষিণ সুরমার চণ্ডিপুল এলাকায় একটি হোটেলে ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় কাইয়ুম চৌধুরী এসব কথা বলেন।
সভায় দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ, প্রতিটি ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, এই সংস্কার হবে জনগণের জন্য-জনগণের দ্বারা। জনগণের শক্তিই প্রকৃত পরিবর্তনের চালিকাশক্তি। ইতিহাস, জনআকাঙ্ক্ষা ও নৈতিক দায়িত্ব এখন বিএনপির কাঁধে। এ দায়িত্ব পালনে প্রয়োজন একটি সুস্পষ্ট ও বাস্তবমুখী রণনীতি—যা হবে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সম্পূর্ণরূপে নিবেদিত। ভোটাধিকার ফেরানোর মাধ্যমেই দেশে ফিরবে জবাবদিহিতা, ন্যায়বিচার এবং জনগণের সরকার।
বিএনপির সাংগঠনিক বিষয়েও গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, বিএনপি এখন আর শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়—বিএনপি দেশের নির্যাতিত, নিপীড়িত ও বঞ্চিত মানুষের একমাত্র আশ্রয়স্থল। ইউনিয়ন পর্যায়ের সংগঠনকে আরও সক্রিয়, শক্তিশালী ও সংগঠিত করতে হবে। সামনে আন্দোলন, সংগ্রাম ও জাতীয় নির্বাচন—সব কিছুর জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।”
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সদস্য তাজরুল ইসলাম তাজুল। উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল ইসলাম তুরন ও সাংগঠনিক সম্পাদক সুহেল ইবনে রাজার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সদস্য ও উপদেষ্টা অধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান সুয়েব, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন তরফদার, সহ-দফতর সম্পাদক মাহবুব আলম, সহ-প্রচার সম্পাদক সাহীন আলম জয়, উপদেষ্টা নূরুল আমিন দুলু, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি ময়নুল ইসলাম মঞ্জুর এবং ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দের মধ্যে আশরাফুল আলম বাহার, আফতাব উদ্দিন, আব্দুল মালিক মল্লিক, আফরোজ মিয়া, পাবেল রহমান, আরিফ চৌধুরী প্রমুখ।
সভায় প্রতিটি ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিজ নিজ এলাকার সাংগঠনিক কার্যক্রম ও সুপারিশ তুলে ধরেন।
তারা বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরাই দলের প্রাণ। তাদের ঐক্যবদ্ধ অংশগ্রহণ ও সাংগঠনিক তৎপরতাই ভবিষ্যতের আন্দোলনকে সফল করবে।