জকিগঞ্জ প্রতিনিধি : টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে বরাক নদী হয়ে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কুশিয়ারা নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে উপজেলা সদর সহ পৌর এলাকাও। প্রতি মুহূর্তে লোকালয়ে পানি ঢুকছে।
সোমবার (২ জুন/১৯ জ্যৈষ্ঠ) রাতে জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের রারাই ও ভাখরশাল গ্রাম এবং পৌরসভার ছয়লেন, খলাছড়া ইউনিয়নের লোহারমহল, বীরশ্রী ইউনিয়নের সুপ্রাকান্দি, লাফাকোনা ও লক্ষীবাজার এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। প্লাবিত গ্রামের সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এছাড়াও জকিগঞ্জ পৌরসভার কেছরী এলাকায় বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে পানি ঢুকছে শহরে। জকিগঞ্জ শহরের অনেকাংশও বন্যার পানিতে প্লাবিত। ছবড়িয়া, সেনাপতির চক, ইছাপুর, পিল্লাকান্দি, আমলসীদ, গদাধর ও বড়ছালিয়া সহ অর্ধশতাধিক জায়গায় বেড়িবাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করছে। এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে বালুর বস্তা দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের রারাই গ্রামে প্রায় ১৫০ ফুট, বাখরশালে গ্রামে ৭০ ফুট, লোহারমহল গ্রামে ৫০ ফুট ও ছয়লেন গ্রামে ১৫ ফুট বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে। বসতঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় নদী তীরবর্তী এলাকার লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছেন।
প্রতিটি এলাকার মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, সঠিক সময়ে বেড়িবাঁধ সংস্কার না করায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার থেকে কুশিয়ারার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহমুদুর রহমান জানান, প্রশাসন সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি মনিটরিং করছে। বন্যাকবলিত এলাকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে। কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রও চালু করা হয়েছে।