বিশেষ প্রতিবেদক, হবিগঞ্জ : এনা পরিবহন বন্ধ করে দেওয়ার পায়তারায় লিপ্ত একটি চক্র হবিগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাসে হামলা ও ভাংচুর করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এতে ইতোমধ্যে অনেক যাত্রী আহত হয়েছেন।
এনা পরিবহনের পক্ষে হবিগঞ্জের মাধবপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর সহ বিভিন্ন থানায় সাধারণ ডায়েরি-জিডি করা হয়েছে।
মাধবপুরের আন্দিউড়া হাইওয়ে ইন হোটেল কাউন্টারের ম্যানেজার আবু সৈয়দ বাবুল গত ৩ মার্চ মাধবপুর থানায় একটি জিডি করেন।
এতে উল্লেখ্য করা হয়েছে, এনা পরিবহন দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের মাধ্যমে সাধারণ যাত্রীদের সুবিধা ও সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে সেবা প্রদান করে আসছে। এ ছাড়া এ পরিবহন নিয়মিত সরকারকে ভ্যাট ও ট্যাক্স প্রদান করছে। এভাবে পরিবহনটি দেশের রাজস্ব খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
অভিযোগ করা হয়েছে, গত ২৫ ও ২৬ মার্চ মাধবপুর থানাধীন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আন্দিউড়া, শাহপুর, বেজুড়া, কসবাহাটি, বেলঘর, রতনপুর আল-আমিন হোটেলের পাশে, বাদশা গেইট ও মানিকপুর নামক স্থানে ৬টি বাসের সামনের গ্লাসে পাথর ও ইটের টুকরো দ্বারা ঢিল মারা হয়। এতে গ্লাস ভেঙ্গে যেমন ক্ষতি হয়, তেমনি পরিবহনের চালক, শ্রমিক ও যাত্রীরা আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাাতাল সহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। বাসগুলো ভাঙ্গায় কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়। এর ফলে এনা পরিবহনের স্টাফ, চালক ও যাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এব্যাপারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করা হয়।
এদিকে এনা ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডের বাসে হামলা ও ভাংচুরের ব্যাপারে পরিবহনটির জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দ আতিকুল ইসলাম, সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার সহ দেশের বিভিন্ন স্থানের বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে লিখিতভাবে অবগত করেছেন।
এনা পরিবহন সূত্রে জানা গেছে, গত ৫/৬ মাস ধরে একটি কুচক্রী মহল এনা গাড়ি পরিচালনা বন্ধ করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করে চলেছে এবং পরিবহনের চালক ও শ্রমিকদের হুমকি দিচ্ছে। শুধু হুমকিই নয়, রাতের আঁধারে গাড়িগুলো ঢিল মেরে ভাংচুর করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৭০/৮০টি গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে।
ঢাকায় সিলেট রুটের এনা পরিবহন কাউন্টার জোর পূর্বক দখল করে নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।