বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা অনেক পুরনো : সংস্কার কমিশন চেয়ারম্যান

  • আপডেট টাইম : December 27 2024, 07:09
  • 14 বার পঠিত
বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা অনেক পুরনো : সংস্কার কমিশন চেয়ারম্যান

অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা অনেক পুরনো। কতকগুলো বিচ্ছিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক তৈরি হয়নি। ফলে এগুলো কার্যকর ভূমিকাও রাখতে পারছে না। অসামঞ্জস্যপূর্ণ এ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়নি।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর/১১ পৌষ) সিলেটে একটি হোটেলে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের যৌথ আয়োজনে এবং ইউএনডিপির সহযোগিতায় স্থানীয় সরকার সংস্কার বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন, বিভাগীয় কমিশনার খান মো রেজা-উন-নবী। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড ফেরদৌস আরফিনা ওসমান, অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, ড মাহফুজ কবীর, মাশহুদা খাতুন শেফালী, ড মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, লেখক ও মানবাধিকার কর্মী ইলিরা দেওয়ান, অধ্যাপক ড কাজী মারুফুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার দপ্তরের পরিচালক ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত ডিআইজি সিএসবি মোহাম্মদ এহ্সান শাহ্, পিপিএম ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ।
দেশের সরকার সংসদীয় পদ্ধতির; কিন্তু স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা রাষ্ট্রপতি শাসিত উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন একেকটি একেকভাবে কাজ করছে। প্রচলিত কাঠামোয় প্রতিষ্ঠানগুলো এক ব্যক্তির কর্তৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। ফলে কাউন্সিল অধিবেশনে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আবার অধিবেশনও ঠিকমত হয় না। প্রণীত পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ না হওয়ায় কাউন্সিল সত্যিকার অর্থে কার্যকর হচ্ছে না।
মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণকারীরা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের জন্য সেবাসমূহ জনবান্ধব, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না ব্যবহার, নারী কোটা ব্যবস্থাকে কার্যকর, প্রয়োজনে সাংগঠনিক কাঠামো পুনঃনির্ধারণ, জবাদিহিমূলক পরিবেশ তৈরি, শিক্ষিত মানুষদের স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে অনাগ্রহ দূর ও প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সহ বিভিন্ন সুপারিশ পেশ করেন।
সভায় জনপ্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ, এনজিও ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। পিআইডি সিলেট

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর