এস এম সুরুজ আলী, হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জ শহরতলির মির্জাপুর থেকে চাঁনপুর রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় জেলা সদরে যাতায়াতে দুই উপজেলার কয়েকটি গ্রামের মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় প্রায় ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তাটি এরশাদ সরকারের আমলে নির্মিত হয়। তখন চাইরার ভাঙ্গায় একটি সেতু নির্মাণ করা হলেও খোয়াই নদীর ভাঙ্গনে তা ভেঙ্গে যায়। এছাড়াও মির্জাপুর গ্রাম সংলগ্ন ছোট সেতুটিও ভেঙ্গে পড়ে।
এছাড়া ২/৩ বছর পূর্বে মির্জাপুর থেকে গজারিয়াকান্দি-ধনারআব্দা গ্রামের সামনে পর্যন্ত ২ কিলোমিটার রাস্তা কার্পেটিং করা হয়; কিন্তু এই অংশ থেকে চাঁনপুর পর্যন্ত অংশ কাঁচাই থেকে যায়। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদা জমে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছে।
অভিযোগ রয়েছে, রাস্তাটিতে ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের কাপের্টিং করায় বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন দেখা দেয়। এ অংশ দিয়েও চলাচলে দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। শুকনো মওসুমে রাস্তাটি দিয়ে দুর্ভোগ নিয়ে জনগণ চলাচল করলেও বর্ষা মওসুমে রাস্তাটি প্রতি বছরই চলাচলে অনপোযোগী হয়ে পড়ে। এতে রাস্তাটি দিয়ে কোন ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারে না।
চাঁনপুর গ্রামের বাসিন্দা বশির আহমেদ জানান, এই রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ রাস্তা দিয়ে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার চাঁনপুর, ধনারআব্দা ও গজারিয়াকান্দি এবং বানিয়াচং উপজেলার কুশিয়ারতলা, শাহপুর, রতনপুর ও বরকান্দিসহ আরো বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ চলাচল করেন; কিন্তু এ রাস্তা দিয়ে কোনো গর্ভবতী নারীকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে ভরসা পান না।
লুকড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার চাঁনপুর গ্রামের মো তৌহিদ মিয়া জানান, এই রাস্তাটি এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম; কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
তিনি আরো জানান, সেতু ২টির মধ্যে ছোট সেতুটির কাজ দুই বছর পূর্বে শুরু হলেও ঠিকাদার রহস্যজনক কারণে কাজ শেষ করছেন না।