হাইওয়ে পুলিশ সিলেট অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো শহিদ উল্লাহ্ বলেছেন, মহাসড়ককে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতিমুক্ত এবং নিরাপদ করতে হাইওয়ে পুলিশ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছে। অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে, মহাসড়কে কেউ যেন হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়টিকে। সিলেট অঞ্চলের মহাসড়কগুলোকে নিরাপদ ও অবৈধ দখলমুক্ত করতেও ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।
সোমবার বিকেলে দক্ষিণ সুরমার আলমপুরে হাইওয়ে পুলিশ সিলেট অঞ্চলের কার্যালয়ে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আল আজাদ, সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ, সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মনিরুজ্জামান, প্রথম আলোর সিলেট অফিসের নিজস্ব প্রতিবেদক সুমনকুমার দাশ, জেলা প্রেসক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নুরুল হক শিপু ও জেলা প্রেসক্লাবের সদস্য শাহজাহান সেলিম বুলবুল।
পুলিশ সুপার মো শহিদ উল্লাহ বলেন, শেরপুর থেকে তামাবিল পর্যন্ত মহাসড়কে দুর্ঘটনার জন্য ১৮টি বাঁক অধিক ঝুকিপূর্ণ। এতে ব্ল্যাক স্পট রয়েছে ৯টি। এসব বাঁক ও ব্ল্যাস্পট চিহ্নিত করে হাইওয়ে পুলিশ সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, অত্যাধুনিক স্প্রিডগানের মাধ্যমে নির্ধারিত গতিসীমার বেশি গতিতে যানবাহন চালানোয় গত ১০ মাসে ৩ হাজার ৮০৮টি যানবাহনকে শনাক্ত করে মামলা দেওয়া হয়েছে। এরপর পজ মেশিনের মাধ্যমে প্রতিটি মামলার বিপরীতে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে জরিমানা আদায় করা হয়। ফলে এই অঞ্চলের মহাসড়কে গতির অসুস্থ প্রতিযোগিতা ও দুর্ঘটনা আগের চেয়ে কমে এসেছে।
আইন অনুযায়ী মহাসড়কের উভয়পাশের ১০ মিটার জায়গা হাইওয়ে পুলিশের অধীনে জানিয়ে পুলিশ সুপার মো শহিদ উল্লাহ্ বলেন, মহাসড়কের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
দুর্নীতির প্রতি নিজের জিরো টলারেন্স নীতির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, হাইওয়ে পুলিশের কোনো সদস্য দুর্নীতি বা কানো ধরনের অনিয়ম ও দায়িত্বপালনে অবহেলা করলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।-সংবাদ বিজ্ঞপ্তি