জকিগঞ্জ প্রতিনিধি : সিলেটের জকিগঞ্জে সহপাঠীর সাথে বেড়াতে গিয়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
গত ২৬ জুলাই সকালে ঘটনাটি ঘটলেও তা ধামাচাপার চেষ্টা করা হয়। তবে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
বুধবার (৩০ জুলাই/১৫ শ্রাবণ) সকালে নির্যাতিতা নিজেই বাদি হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে জকিগঞ্জ থানায় মামলা করেন। আসামিরা হলেন উপজেলার নিদনপুর গ্রামের খছরুজ্জামানের ছেলে ইমরান আহমদ (২৩), খিলগ্রামের আব্দুল বাছিতের ছেলে তানজিদ আহমদ (১৮), মাইজগ্রামের আজাদ আহমেদের ছেলে শাকের আহমদ (২৪), জামাল উদ্দিনের ছেলে শাকিল আহমদ (২১) ও মনতৈল গ্রামের ফইজ আলীর ছেলে মুমিন আহমদ (২০)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বারহাল এহিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এই ছাত্রী ঘটনার দিন সকাল ১০টার দিকে সহপাঠী রাফির সঙ্গে শাহগলী বাজারের পরিত্যক্ত আদিল ব্রিকফিল্ড এলাকায় বেড়াতে যায়। সেখানে অভিযুক্ত পাঁচ যুবক তাদের গোপনে ছবি তোলে। এরপর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তিনজন মেয়েটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। বাকি দুজন অপকর্মে সহযোগিতা দেয়।
মামলা হওয়ার পর থেকেই আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জকিগঞ্জ থানার ওসি জহিরুল ইসলাম মুন্না জানিয়েছেন।
এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর বুধবার বিকেলে বারহাল এলাকায় পৃথক পৃথকভাবে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন এলাকাবাসী। তারা জঘন্য এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
জকিগঞ্জ থানার ওসি জানান, মঙ্গলবার রাতে খবর পেয়ে পুলিশ নির্যাতিতাকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। পরে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি পরিবারকে মামলা করার পরামর্শ দেন; কিন্তু অভিযোগ করতে দেরি হওয়ায় আসামিরা আত্মগোপনে চলে গেছে।