নিজস্ব প্রতিবেদক : র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব হবিগঞ্জের মাধবপুরে কচুরিপানার নিচ থেকে গৃহবধূর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধারের জের ধরে তার স্বামীকে আটক করেছে।
র্যাব-৯ এক তথ্য বিবরণীতে জানায়, জেলার মাধবপুর উপজেলার হাড়িয়া এলাকার মো বিল্লাল মিয়ার মেয়ে মাইশা আক্তার (১৬) ও কলেজপাড়া এলাকার মো সোহাগ মিয়া ওরফে রমজানের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে দু’জনে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করে।
কিন্তু বিয়ের পর পরই স্বামী সোহাগ মিয়া ও পরিবারের অন্যান্য সদস্য মাইশা আক্তারের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে।
গত ১৮ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সোহাগ মিয়া মোবাইল ফোনে তার স্ত্রীর বোনকে জানায় যে, তার স্ত্রী মাইশা আক্তার বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে গেছে।
এ খবর পেয়ে মাইশা আক্তারের বাবা মেয়ের শ্বশুর বাড়ি ও নিজের আত্মীয়স্বজনের বাড়ি সহ সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজাখুজি করেও মেয়ের সন্ধান পেতে ব্যর্থ হন।
একপর্যায়ে গত ২২ জুলাই আনুমানিক বিকেল ৫টায় তিনি লোকমুখে জানতে পারে যে, কলেজপাড়া এলাকায় সোহাগ মিয়াদের বাড়ির পূর্ব পাশের ডোবায় কচুরিপানার নিচে এক নারীর মৃতদেহ ভাসছে। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে মাইশা আক্তারের মরদেহ ভাসতে দেখতে পান। গৃহবধূ ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল বলে পুলিশ তার পেটে থাকা ভ্রুণ মৃত ও আংশিক পঁচা অবস্থায় উদ্ধার করে।
পরবর্তী সময়ে মাইশা আক্তারের বাবা বিল্লাল মিয়া বাদি হয়ে মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আসামিকে আইনের আওতায় আনতে র্যাব-৯ ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু ও গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-৩, শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প, হবিগঞ্জ ও র্যাব-১০, কেরাণীগঞ্জ, ঢাকার একটি যৌথ আভিযানিক দল সোমবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ উপজেলার ঝিলমিল ঢাকা পাম্পের সামনে অভিযান চালিয়ে মামলার ১ নম্বর পলাতক আসামি মো সোহাগ মিয়া ওরফে রমজানকে (২৭, পিতা মৃত আব্দুল হাসেম, কলেজপাড়া, মাধবপুর, জেলা হবিগঞ্জ) গ্রেফতার করে।
পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।