সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, “ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে দীর্ঘদিন যাবৎ বিএনপি নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে থেকে লড়াই করছেন। আন্দোলনে যেভাবে জনগণ আমাদের সাথে ছিলেন, ইনশাআল্লাহ আগামী নির্বাচনেও সেভাবেই পাশে থাকবেন। সিলেট-৩ আসনে ধানের শীষকে বিজয়ী করে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বিজয় উপহার দিতে এলাকার জনগণ উন্মুখ হয়ে আছেন।’
তিনি আরও বলেছেন, বিলম্ব না করে অবিলম্বে বাংলাদেশকে একটি গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে আনতে হবে। কারণ, জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া জাতীয় কোনো সংস্কারই কার্যকর করা সম্ভব নয়।
শনিবার (২৬ জুলাই/১১ শ্রাবণ) বিকেলে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বৈরাগী বাজারে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের জেলা সভাপতি এসব কথা বলেন।
তিনি সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “নির্বাচন বিলম্বিত হলে সরকার রাজনৈতিক প্রশ্নবিদ্ধতার মুখে পড়বে এবং দেশে নতুন সংকট সৃষ্টি হবে। ভয়-ভীতি, দমন-পীড়ন ও ‘মব কালচার’ ছড়িয়ে মানুষকে দমিয়ে রাখা হচ্ছে—যা গণতন্ত্রের জন্য মারাত্মক হুমকি।”
কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, রাজনীতির মূল লক্ষ্য কেবল ক্ষমতা নয় বরং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, উদার ও কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। নির্বাচন কমিশনের প্রকৃত স্বাধীনতা ও জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না হলে দেশের অর্থনীতি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাও ব্যাহত হবে।
তিনি আরও স্মরণ করিয়ে দেন, “দুই বছর আগে বিএনপিই সর্বপ্রথম ৩১ দফা জাতীয় সংস্কার রূপরেখা দিয়েছে। আজ অনেকেই সংস্কারের কথা বললেও বিএনপিই ছিল পথপ্রদর্শক। এই সংস্কার বাস্তবায়নে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বদরুল ইসলাম জয়দু, মাহবুব আলম, মনিরুল ইসলাম তুরন, আলাউদ্দিন আলাই, শাহীন আলম জয়, আফতাব উদ্দিন, আশরাফুল আলম বাহার, ময়নুল ইসলাম মঞ্জুর, পাবেল রহমান, অলিউর রহমান, আরিফ চৌধুরী, রিফল আহমদ ও জিয়া উদ্দিন প্রমুখ।
সভাপতিত্ব করেন জালালপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি আব্দুল আলী। পরিচালনা করেন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রায়হানুল হক।–সংবাদ বিজ্ঞপ্তি