সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, যখনই দেশে গণতন্ত্র ধ্বংসের চেষ্টা হয়েছে তখনই বিএনপি রাজপথে থেকে গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই করেছে।
তিনি আরও বলেছেন, বিএনপি অপরাধ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে অটল। অন্যায়কারী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনতেই হবে—এটাই বিএনপির স্পষ্ট অবস্থান।
রবিবার (১৩ জুলাই/২৯ আষাঢ়) বিকেলে দক্ষিণ সুরমার জালালপুর বাজারে আয়োজিত এক সমাবেশে জেলা বিএনপির সভাপতি বক্তব্য দিচ্ছিলেন।
কাইয়ুম চৌধুরী ঘোষণা করেন, “আমরা কখনো কোনো অপরাধীকে আশ্রয় বা প্রশ্রয় দিইনি-ভবিষ্যতেও দেবো না।”
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচিত সরকার না থাকার কারণে দেশে খুন, সন্ত্রাস ও আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে। অপরাধীরা দাপটের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে। একটি শক্তিশালী নির্বাচিত সরকারই এ অবস্থা থেকে দেশকে উদ্ধার করতে পারে।
চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশনির্মাণে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ষড়যন্ত্র থেমে নেই। নতুন করে চক্রান্ত শুরু হয়েছে। অদৃশ্য শত্রুরা এখন ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে। গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি।
তিনি বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে, বাংলাদেশের মানুষই সকল রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বই বিএনপির চূড়ান্ত ঠিকানা। শোক, গণঅভ্যুত্থান ও বিজয়ের মাসে জনগণ একটি বিশেষ গোষ্ঠীর অপতৎপরতা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, জালালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বদরুল ইসলাম জয়দু।সঞ্চালনা করেন, উপজেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক রায়হানুল হক। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম তুরন, সহপ্রচার সম্পাদক শাহীন আলম জয়, সহকৃষিবিষয়ক সম্পাদক শামসুর রহমান সুজা ও নূরুল আমিন দুলু, সদস্য আশরাফুল আলম বাহার, আপ্তাব উদ্দিন, ময়নুল ইসলাম মঞ্জু, আখলাকুল আম্বিয়া বাতিন, আব্দুল করিম তখই, জয়নাল আবেদীন ইমন, রাসেল হোসেন, রিফল আহমদ, আরিফ চৌধুরী, লুৎফুর রহমান, আব্দুল কাদির ও রাজু আহমেদ।–সংবাদ বিজ্ঞপ্তি