মো আয়মান আহমেদ, দিরাই : সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বে আসতে ১৬০ জন আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক ও যুগ্মআহ্বায়ক পদে আসতে আগ্রহীরা গত ২৯ মে থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত উপজেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দেন। এই আবেদনপত্র বিতরণ ও গ্রহণের দায়িত্ব পালন করেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আবু সাঈদ চৌধুরী এবং পংকজ দাস। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় আগ্রহীরা আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দেন।
প্রতি ইউনিয়নে একজন আহ্বায়ক ও একজন যুগ্মআহ্বায়ক নির্বাচিত হবেন। এই হিসেবে ৯ ইউনিয়নে পদ ১৮টি। এর বিপরীতে ১৬০ জন আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন অর্থাৎ প্রতি পদে প্রার্থী প্রায় ৯ জন। আবেদনকারীর সংখ্যা হলো, রাজানগর ইউনিয়নে ৩৫ জন, করিমপুর ইউনিয়নে ২৫ জন, জগদল ইউনিয়নে ১৮ জন, তাড়ল ইউনিয়নে ১৬ জন, ভাটিপাড়া ইউনিয়নে ১৫ জন, চরনারচর ইউনিয়নে ১৪ জন, সরমঙ্গল ইউনিয়নে ১৪ জন, রফিনগর ইউনিয়নে ১৩ জন ও কুলঞ্জ ইউনিয়নে ১০ জন।
দিরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইফতেখার মো নাবিল চৌধুরী জানান, প্রতি ইউনিয়নে একজন আহ্বায়ক, একজন যুগ্মআহ্বায়ক ও ৯ জন সদস্য নিয়ে ১১ সদস্যের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করা হবে।
তিনি জানান, আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই শেষে শীঘ্রই কমিটি ঘোষণা করা হবে। ইউনিয়ন কমিটি ভোটের মাধ্যমে ৯টি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করবে।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর হোসেন জানান, ৯টি ইউনিয়নে এক মাসে তারা কর্মীসভা সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন।
উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সভা ডেকে শীঘ্রই যাচাই বাছাই করে প্রতি ইউনিয়নে একটি সুন্দর কমিটি উপহার দিতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মঈন উদ্দিন চৌধুরী মাসুক বলেন, উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে প্রতিটি ইউনিয়ন কমিটিতে প্রকৃত ত্যাগী নেতাকর্মীদের স্থান করে দিতে যাচাই বাছাই করা হবে।