যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে সারা দেশের ন্যায় সিলেটেও ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জ্বল পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উদযাপিত হয়েছে।
সিলেটে ঈদের প্রধান জামাত সকাল ৮টায় ঐতিহাসিক শাহী ঈদগা ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন, বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মুফতি জুনায়েদ আহমদ।
জামাতের আগে ঈদ-উল-আজহার তাৎপর্য বিষয়ক বয়ান পেশ করেন, একই মসজিদের খতিব মাওলানা মুশতাক আহমদ খান।
ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকতাবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গ এবং অন্যান্য ধর্মপ্রাণ মুসল্লি।
এছাড়াও দরগায়ে হজরত শাহজালাল (র.) মাজার মসজিদ, কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদ ও সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা ময়দান সহ বিভিন্ন মাঠ, ঈদগা ও মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
পরে মুসল্লিরা পরস্পর ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
ঈদের জামাত আদায় শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করেন। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, মনের পশুকে বিসর্জন দিয়ে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে যাওয়া।
নির্বিঘ্নে, নিরাপদে ও আনন্দঘন পরিবেশে ঈদ উদযাপনের লক্ষ্যে মহানগরীতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
এছাড়া কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণে সিলেট সিটি কর্পোরেশণের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এবার ঈদের পর লম্বা ছুটি থাকায় ধারণা করা হচ্ছে, ঈদের পরদিন থেকে সিলেটের পর্যটন স্পটগুলো ভ্রমণপিপাসুদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠবে। পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সাইন বোর্ড লাগানো হয়েছে। পর্যটন এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত পর্যটন পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে বিভিন্ন হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণ কেন্দ্রে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়।–পিআইডি সিলেট