জুড়ী থেকে সংবাদদাতা : মৌলভীবাজারের জুড়ীতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য ও কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) সকালে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সহযোগিতায় ও জুড়ী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণে সভাপতিত্ব করেন, জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাবলু সূত্রধর।
জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সমরজিৎ সিংহের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন, জুড়ী থানার ওসি মো. মুরশেদুল আলম ভূঁইয়া, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল আলম খান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ডা. মোস্তাকিম হোসেন বাবুল, গোয়ালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম, পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, সাগরনাল ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সরফ উদ্দিন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দিলীপময় দাশ চৌধুরী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার তাহমিনা চৌধুরী, তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. ফরহাদ আহমেদ, হযরত শাহখাকী (র.) আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ইয়াকুব আলী, জুড়ী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফছা হাবিবা লুপা, মক্তদীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসহাক আলী, জুড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুমন, দৈনিক কালবেলা প্রতিনিধি আদনান চৌধুরী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহিম, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা তপন চন্দ্র সূত্রধর, উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসের কর্মকর্তা সুজাউদ্দৌলা, তথ্যআপা মিনতি দেবী প্রমুখ।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা ৪টি গ্রুপে ভাগ হয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে নানান সুপারিশ পেশ করেন। যেমন, আইন প্রয়োগে ভ্রাম্যমাণ আদালত বাড়ানো, টেলিভিশন ও সংবাদমাধ্যমগুলোতে বেশি বেশি তামাক বিরোধী প্রচারণা চালানো, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমিটি গঠন, হাট-বাজারে বিলবোর্ড স্থাপন, তামাক নিয়ন্ত্রণ করতে জনসচেতনতা বাড়ানো ইত্যাদি।
আলোচনায় বক্তারা তামাকের ভয়াবহ ক্ষতির দিক তুলে ধরেন এবং সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বক্তারা বলেন, তামাকজনিত রোগে প্রতিবছর হাজারো মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। তামাক ও নিকোটিন শুধু ব্যবহারকারীকেই নয়-আশেপাশের মানুষকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।
তারা তামাক কোম্পানির কৌশলে বিভ্রান্ত না হয়ে কৃষকদের তামাক চাষ বর্জন করে লাভজনক ও স্বাস্থ্যকর ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।