সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়-সিকৃবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলাম বলেছেন, প্রকৃতির জন্য মৌমাছি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা ও টেকসই জীবিকার জন্যও মৌমাছি পালন করা দরকার। মধু শর্করা জাতীয় খাদ্য হলেও এতে বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন, এনজাইম ও খনিজ পদার্থ থাকে। একে সব রোগের মহৌষধ বলা হয়।
তিনি আরও বলেছেন, মৌমাছি পরাগায়ণ প্রক্রিয়ায় সহায়তা দানের মাধ্যমে ফল ও ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রকৃতির জন্য মৌমাছি সংরক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরি। মৌমাছি পালনকে কুটির শিল্প হিসেবে গ্রহণ করলে অনেক বেকারের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
বিশ্ব মৌমাছি দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২০ মে) সিকৃবির মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় উপাচার্য প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছিলেন।
কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. মো. ফুয়াদ মন্ডলের সভাপতিত্বে ও সহযোগী প্রফেসর ড. কামরুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, অর্থ ও হিসাব শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. মো. রুহুল আমিন ও ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তা বলেন, দেশে মৌমাছি চাষের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এটি শুধু মধুর উৎপাদন বাড়াবে না, কৃষি ফসলের উৎপাদনও ২৫-৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিবে।
তারা বলেন, দৈনিক ১০ গ্রাম মধু খেলে দেশের বার্ষিক চাহিদা ৪০ হাজার টন হতে পারে। বর্তমানে দেশে মধুর বার্ষিক বাজারমূল্য ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ২০২৪ সালে প্রাকৃতিক ও চাষ থেকে ২০-২৫ হাজার টন মধু সংগ্রহ করা হয়। যথাযথ উদ্যোগ নিলে দেশের মধুর চাহিদা পূরণ করে ইউরোপ, আমেরিকা ও কানাডা সহ অন্য দেশগুলোতে রপ্তানি করা সম্ভব। মধু নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে গবেষক, চাষি, উৎপাদক, ব্যবসায়ী ও ভোক্তার মাঝে সেতুবন্ধন বাড়াতে হবে।
বিশ্ব মৌমাছি দিবস উদযাপন উপলক্ষে সিকৃবিতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রারও আয়োজন করা হয়।
উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলামের নেতৃত্বে শোভাযাত্রাটি সমগ্র ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে কৃষি অনুষদের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় বিভিন্ন অনুষদীয় ডিন, দপ্তর প্রধান, হল প্রভোস্ট, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।–সংবাদ বিজ্ঞপ্তি