এ. এস. কাঁকন মৌলভীবাজার : দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানের পাশাপাশি তার সন্তান, বোন ও বোনের সন্তানের বিরুদ্ধেও দুদক অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
তিনি আরও বলেছেন, নির্বাচনের সময় সম্পদের যে বিবরণী শেখ হাসিনা দিয়েছিলেন দুদকের পরীক্ষায় দেখা গেছে, তাতে অনেকাংশে সম্পদের পরিমাণ গোপন করা হয়েছে।
রবিবার (১৮ মে/৪ জ্যৈষ্ঠ) মৌলভীবাজারে দুদকের গণশুনানি শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যেমন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার উদ্ভব হয়েছিল তেমনি গত ৫ আগস্টের পর বেশ কিছু ব্যক্তি ভুয়া সমন্বয়ক ও ভুয়া দুদক চেয়ারম্যান পরিচয়ে প্রতারণা করার চেষ্টা করেছে। এসব ভুয়া পরিচয়ধারীকে শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমাদের মাঝেও সীমিত দুর্নীতি রয়েছে। এই দুর্নীতি সবার আগে বন্ধ করতে হবে। সমাজে দুর্নীতির গোড়াপত্তন হয় মিথ্যাচারের মাধ্যমে, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেয়। এগুলো দমন করতে পারলে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রয়োজন হতো না।’
সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও দুর্নীতি প্রতিরোধে মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দুদকের এই গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, দুদকের কমিশনার (অনুসন্ধান) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) হাফিজ আহ্সান ফরিদ, মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হুসাইন, মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন, সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রাফি মো. নাজমুস সাদাৎ এবং হবিগঞ্জ সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. এরশাদ মিয়া।
এসময় সেবা বঞ্চিত সংক্ষুব্ধ জনগণ তাদের অভিযোগ প্রমাণ সহ তুলে ধরেন। এসব অভিযোগ শোনার পর দুদক চেয়ারম্যান প্রয়োজনীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।