নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেট থেকে প্রথম হজ্ব ফ্লাইট হিসেবে হজ্বযাত্রীদের নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজ সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে আগামী ১৪ মে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আকাশে ডানা মেলবে।
সোমবার (১২ মে/২৯ বৈশাখ) বিকেলে মহানগরীর ধোপাদিঘির উত্তরপাড়ে আনন্দ টাওয়ারে নিজস্ব কার্যালয়ে হজ্ব এজেন্সিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-হাব আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংগঠনের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হক
লিখিত বক্তব্যে জানান, প্রথম ফ্লাইট যাবে ৪১৮ জন হজ্বযাত্রী নিয়ে। এবারও সিলেট থেকে ৫টি হজ্ব ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। প্রথম ফ্লাইটটি সরাসরি যাবে মদিনা শরীফ। পরের ৪টি ফ্লাইট ২৩, ২৫, ২৬ ও ২৯ মে সিলেট থেকে জেদ্দা যাবে।
তিনি জানান, এবছর সিলেটের মোট হজ্বযাত্রী ২ হাজার ৬৭৫ জন। এর মধ্যে ৫টি ফ্লাইটে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাবেন ২ হাজার ৯০ জন। বাকি ৫৮৫ জন ঢাকা বিমানবন্দর থেকে যাবেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারো হজ্ব যাত্রীদের দুই দেশের ইমিগ্রেশন হবে ঢাকাতে। তবে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে গমনকারীদের সৌদি আরবের আগমনী ইমিগ্রেশন সে দেশেই সম্পন্ন হবে।
মো. আব্দুল হক জানান, এবারের হজ্ব কোটা ব্যবস্থাপনায় এজেন্সি প্রতি এক হাজার যাত্রী বেঁধে দেওয়ায় কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবে এতে তেমন বেগ পেতে হয়নি। এজেন্সিগুলো নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে নিয়েছে। আগামীতে নির্ধারিত সংখ্যা বাড়ালেও সমস্যা হবে না-সমন্বয় করে নেওয়া হবে।
তিনি জানান, সিলেটে ধর্ম মন্ত্রণালয় অনুমোদিত ৩০টি হজ্ব এজেন্সির মধ্যে ২১টি হাজি নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। সিলেট থেকে এবার সরকারিভাবে ৩৩ জন নিবন্ধিত হয়েছেন।
হাব সিলেট অঞ্চলের সেক্রেটারি মু. আব্দুল কাদিরের পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সাবেক সভাপতি আতাউর রহমান, খন্দকার সিপার আহমদ, মোতাহার হোসেন বাবুল ও জহিরুল কবির চৌধুরী, আটাব সিলেট অঞ্চলের সভাপতি জিয়াউর রহমান খান রেজওয়ান, হাব সিলেট অঞ্চলের ভাইস চেয়ারম্যান মশহুদ আহমদ, সাবেক সেক্রেটারি গিয়াস উদ্দিন আহমদ, সদস্য নাজিব বিন মনসুর ও মোহাম্মদ আলী।