নিজস্ব প্রতিবেদক : অ্যাসোসিয়শেন অব ট্রাভেল এজেন্ট অব বাংলাদেশ-আটাব, সিলেটে টিকিট সিন্ডিকেটের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানিয়েছে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল/১৭ বৈশাখ) বিকেলে আটাব কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভায় এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
পরে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিতে গিয়ে আটাব সিলেট অঞ্চলের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান খান রেজওয়ান বলেন, আটাবের নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি বাতিলের উদ্দেশ্যে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। মূলত এয়ার টিকিট সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আটাব দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করায় এই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। অথচ এই কমিটি আটাবের সকল সদস্যের ব্যবসার জন্যে সমান সুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এয়ার টিকিট মার্কেটকে সিন্ডিকেট মুক্ত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, টিকিটের অস্বাভাবিক উচ্চ মূল্য ও কৃত্রিম আসন সংকট নিয়ে গত ২৬ জানুয়ারি আটাব সংবাদ সম্মেলন করে এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে, যা সরকারের দৃষ্টিগোচর হলে এয়ার টিকিট সিন্ডিকেট ভেঙে টিকিটের উচ্চমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার কার্যকরী ব্যবস্থা নিয়ে একটি পরিপত্র জারি করে। ফলে এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা টিকিট ব্যবসায় একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। তাই ক্ষুব্ধ হয়ে বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির বিরুদ্ধে তারা বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করতে শুরু করে।
আটাবের বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি কোনোভাবেই আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট নয়-এটি একটি অরাজনৈতিক সংগঠন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আটাব যদি আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট হতো, তাহলে অন্যান্য বাণিজ্য সংগঠনের কর্তা ব্যক্তিদের মতো এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতেন নতুবা সদস্যদের দ্বারা পদচ্যুত হতেন।
জিয়াউর রহমান খান রেজওয়ান জানান, বিমান টিকিটের মূল্য দ্বিগুণ-তিনগুণ করার সাথে যে সকল ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, এজেন্সি ও এয়ারলাইন্স জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আটাব সর্বদা সোচ্চার থেকে সিন্ডিকেট বন্ধে সরকারের সহযোগী হয়ে কাজ করবে।
প্রতিবাদ সভায় আটাব সিলেট অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান রুশো চৌধুরীর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সিলেট অঞ্চলের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, আব্দুল হক, খন্দকার সিপার আহমেদ, আব্দুল কাইয়ুম, মনসুর আলী খান, মোতাহার হোসেন বাবুল, জহিরুল কবীর চৌধুরী শিরু, সৈয়দ আব্দুল কুদ্দুছ, আব্দুল কাদির, তাজুল ইসলাম, মহিবুল হক, ইশরার আহমদ রণি, আব্দুল ওয়াদুদ, আতিকুর রহমান, আব্দুল মালিক, তৈয়বুর রহমান নান্নু, মিসবাউল করীম, মোজাম্মেল হোসেন রুবেল, আবুল কালাম মিঠু, মামুনুর রশীদ, নিপেন্দ্র কুমার দাস, মো. তাজ উদ্দিন, সিরাজুল ইসলাম, তানভীর আহমদ চৌধুরী, হারুনুর রশিদ তালুকদার প্রমুখ।