দেশ-বিদেশের পর্যটকদের সুবিধার্থে আসন্ন মে দিবসে সিলেটে হোটেল-রেস্টুরেন্ট খোলা রাখা হবে।
মহান মে দিবসকে সামনে রেখে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকালে চেম্বার সম্মেলন কক্ষে সিলেটের হোটেল-রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন, সিলেট চেম্বার সভাপতি মুজিবুর রহমান মিন্টু। স্বাগত বক্তব্যে চেম্বার তিনি বলেন, সিলেট বাংলাদেশের আধ্যাত্মিক পর্যটন নগরী হিসেবে খ্যাত। মাজার জিয়ারত ও দর্শনীয় স্থানসমূহ দেখতে অনেক পর্যটক শুক্রবার সহ সরকারি ছুটির দিনগুলোতে এখানে অবস্থান করেন। তাদের জন্য সিলেটের হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলো ছুটির দিনেও খোলা থাকে। এদিকে রেস্টুরেন্ট শ্রমিকগণ মে দিবসে রেস্টুরেন্ট খোলা রাখার বিপক্ষে। তারা এ দিন ছুটি প্রদানের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ দাবি জানিয়ে আসছেন।
তিনি উল্লেখ করেন, গত বছর মে দিবসে হোটেল-রেস্টুরেন্ট খোলা রাখার বিষয়কে কেন্দ্র করে সিলেটের কয়েকটি স্থানে রেস্টুরেন্টে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে রেস্টুরেন্ট মালিকগণ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। এ ঘটনায় থানায় মামলাও হয়েছে।
চেম্বার সভাপতি বলেন, ‘মে দিবসকে কেন্দ্র করে কোনো ব্যবসায়ী বা শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হন তা আমরা কেউই চাই না। অপরদিকে আধ্যাত্মিক নগরী ও পর্যটন নগরী হিসেবে পর্যটকদের সুবিধা-অসুবিধার প্রতি লক্ষ্য রাখাও আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।’
মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি- সিলেট জেলা শাখা, জেলা ক্যাটারার্স গ্রুপ, দক্ষিণ সুরমা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি, জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন, মহানগর হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন, মহানগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, সিলেট রেস্তোরাঁ শ্রমিক দল ও অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সভায় উপস্থিত সকলেই পর্যটকদের সুবিধার্থে মে দিবসে হোটেল-রেস্টুরেন্ট খোলা থাকার ব্যাপারে একমত পোষণ করেন। তবে যেসব শ্রমিক ছুটি গ্রহণ করতে চান তারা সবেতনে ছুটি পাবেন এবং যেসব শ্রমিক কাজ করতে চান তারা বেতন সহ একদিনের বেতনের সমপরিমাণ টাকা বোনাস হিসেবে পাবেন মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আরো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, সকল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ কোনো হোটেল-রেস্টুরেন্টে তাদের কর্মীরা যেন হামলা-ভাংচুর না করে সে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ সকল হোটেল-রেস্টুরেন্টে মে দিবসে ছুটি গ্রহণে আগ্রহী কর্মীদের ছুটি প্রদান ও যারা স্বেচ্ছায় কাজ করবে তাদের বেতন ও বোনাস প্রদানের ব্যাপারটি নিশ্চিত করবেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট চেম্বার সহসভাপতি মো আব্দুস সামাদ, পরিচালক ফাহিম আহমদ চৌধুরী, এনায়েত আহমদ, সিলেট কোতয়াতি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো জিয়াউল হক, সিটিএসবির প্রতিনিধি মো মুত্তাকিন, বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি সিলেট জেলা শাখার সভাপতি খালেদ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মো নূরুজ্জামান সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল ইসলাম, আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট অরূপ শ্যাম বাপ্পি, জেলা ক্যাটারার্স গ্রুপের সভাপতি খলিলুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন চৌধুরী, জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো ছাদেক মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মো আনছার, রেস্তোরাঁ শ্রমিক দল সভাপতি বাচ্চু মিয়া, মহানগর হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো কামরান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হোছাইন আহমদ, মহানগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো দিলশাদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমদ সহ তোফায়েল আহমদ চৌধুরী, মো রাশেদ আহমদ ভূঁইয়া, ইমান আলী, মো ছাদিকুর রহমান, মো সফিকুল ইসলাম, সামসুল হক প্রমুখ।–সংবাদ বিজ্ঞপ্তি