দিরাই প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় সিএনজি অটোরিকশায় তুলে ভুল পথে নিয়ে এক কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের চেষ্টায় দুই জনকে আটক করা হয়েছে।
আক্রান্ত কিশোরী আত্মরক্ষায় অটোরিকশা থেকে লাফ দিয়ে নামতে গিয়ে আহত হয়। তাকে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ/২৯ ফাল্গুন) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, দুপুরে কেনাকাটা করতে এই কিশোরী সহ তিনজন দিরাই আসে। অন্য দুজন কেনাকাটা করে চলে যায় আর সে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কেনাকাটা শেষে বাড়িতে যাওয়ার জন্য দিরাই বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে একটি অটোরিকশায় উঠে। আরও দুই যুবকও উঠে বসে তার দুই দিকে। সঙ্গে সঙ্গে চালক অটোরিকশা ছেড়ে দেয়; কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পরই অটোরিকশাটি সুনামগঞ্জের দিকে যাচ্ছে দেখে কিশোরী অটোরিকশা থামাতে বলে। এ কথা বলতেই পাশের দুই যুবক তাকে ঝাঁপটে মুখ চেপে ধরে। কেড়ে নেয় মুঠোফোন। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। এক পর্যায় কিশোরী নিজেকে কোনো রকমে ছাড়িয়ে চলন্ত অটোরিকশা থেকে লাফ দিয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। এতে তার মুখের ডান পাশ থেঁতলে গেছে। ফোলে ডান চোখ বন্ধ হয়ে গেছে।
মেয়েটির কৃষক পিতা জানান, রাত ৯টার দিকে তার এক আত্মীয় ঢাকা থেকে ফোন করে জানান, তার মেয়েকে দিরাই-মদনপুর সড়কের গণিগঞ্জ এলাকায় আহত অবস্থায় সড়কের পাশে পাওয়া গেছে। সেখানে একজনের বাড়িতে রাখা হয়েছে। এরপর তারা গিয়ে মেয়েকে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। কিশোরী সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে।
দিরাই থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক জানান, এটি স্পর্শকাতর বিষয়, তারা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমেদ জানান, অটোরিকশা চালক দিরাই উপজেলার জকিনগর গ্রাামের ইমন খান (২৫) ও মিঠু মিয়া নামে আরেক যুবককে আটক করা হয়েছে।