অস্ত্র উদ্ধার করে নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির

  • আপডেট টাইম : February 10 2025, 15:45
  • 22 বার পঠিত
অস্ত্র উদ্ধার করে নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী মহানগরীর অবৈধ অস্ত্র এখনো উদ্ধার না হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেছেন, জুলাই বিপ্লবে বিশেষ করে গত ৪ আগস্ট মহানগরীতে অবৈধ অস্ত্রের মহড়া প্রত্যক্ষ করা গেলেও সেই অস্ত্রগুলো এখনো উদ্ধার হয়নি। উপরন্তু, এসব অবৈধ অস্ত্র চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।
জেলা বিএনপি সভাপতি অপারেশন ডেভিল হান্টের মাধ্যমে এসব অস্ত্রধারীদের গ্রেফতার করে নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।
চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি/২৭ মাঘ) বিকেলে মহানগরীর একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী এসব কথা বলেন।
চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে বিএনপি জিরো টলারেন্সে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর এসব অভিযোগে সিলেটে বিএনপি ১০ জনকে বহিষ্কার করেছে। সমাজবিরোধী কাজের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দলের পক্ষ থেকে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভাংচুরের সঙ্গে বিএনপির কোনো পর্যায়ের নেতা-কর্মী জড়িত নেই।
অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে জাতিকে একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবে বলে জেলা বিএনপি সভাপতি আশা প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ে দীর্ঘ ১৭ বছর যাবত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্দোলন সংগ্রাম করেছে বিএনপি; কিন্তু সিলেটের প্রশাসনের উপর অর্পিত দায়িত্বপ্রাপ্তরা সঠিকভাবে পালন করছেন না। তাই সিলেটের সচেতন মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
তিনি অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রশাসনে থাকা সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে সিলেটের মানুষ ক্ষমা করবে না এবং যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনার দায়ভার বিএনপি নেবে না।
সংবাদ সম্মেলনে সাম্প্রতিক সময়ে আদালত থেকে একাধিক মামলায় আসামিদের জামিন নিয়ে প্রশ্ন তোলে বলা হয়, এতে স্পষ্ট বোঝা যায়, পতিত স্বৈরাচারের দোসররা এখনো সিলেটের আদালত সহ বিভিন্ন জায়গায় বহাল তবিয়তে আছে। ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিজমের দোসরদের প্রতি তাদের দৃষ্টি রয়েছে। তারা যদি ভবিষ্যতে আইন অঙ্গন ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে কোনো অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের চেষ্টা করে তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা আমরা প্রতিহত করা হবে। আদালতে বিচারকদের দেওয়া জামিন হতাশাজনক।
সম্প্রতি সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীদের পরাজয় সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এই নির্বাচন দলীয় হয় না। এখানে ব্যক্তির ইমেজের ওপর নির্বাচন হয়। মূলত; এ কারণেই জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রার্থীরা বিজয়ী হতে পারেননি।
বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের চিনিকাণ্ড সহ নানা ঘটনায় সমালোচনার বিষয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, কেউ অপরাধ করলে কিংবা দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কোনো অপকর্ম করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে-বিগত দিনে এর নজির রয়েছে।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীসহ অন্যান্য নেতা।

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর