অটোরিকশা চালকের ছিনতাইয়ে অপরাধ ২ লাখ টাকায় মিটমাট না করায় আসামি মালিক

  • আপডেট টাইম : January 27 2025, 03:11
  • 4 বার পঠিত
অটোরিকশা চালকের ছিনতাইয়ে অপরাধ ২ লাখ টাকায় মিটমাট না করায় আসামি মালিক

নিজস্ব প্রতিবেদক : আয়-রোজগারের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে তিনি সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া দিয়েছিলেন এক চালককে। সেই চালক মালিককে না জানিয়ে চালাতে দেয় আরেক চালককে। এরপর দুই চালক অটোরিকশাটি ব্যবহার করে ছিনতাইয়ের কাজে; কিন্তু এই অপরাধে পুলিশ অটোমালিককে আসামি সাজিয়ে কারাবাস পর্যন্ত করিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, মহানগরীর ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই এলাকার নাগরিক আটোরিকশা মালিক আজহার হোসেন উজ্জ্বল। এ সময় তাকে হয়রানির বিবরণ দেন তিনি এবং ছিনতাইকারী সাজানো সহ তার বিরুদ্ধে সকল ধরনের অপপ্রচার বন্ধের দাবি জানান।
ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী আজহার হোসেন উজ্জ্বল জানান, গত ২০ জানুয়ারি রাত ৯টায় মোবাইল ফোনে আসা কলের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন যে, তার অটোরিকশা চালক সাইফুল আলম লখন দুই সঙ্গীসহ এক নারী যাত্রীর কানের স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়; কিন্তু পালিয়ে যাওয়ার সময় তার সহচর হামিদুর রহমান ধরা পড়েছে। তবে সাইফুল আলম লখন ও শাহারাজ নামের অপরজন পালিয়ে যায়। ফোনে তাকে কোতয়ালি মডেল থানায় যেতেও বলা হয়।
আজহার হোসেন উজ্জ্বল জানান, রাত সাড়ে ১০টার সময় তিনি থানায় গেলে থানার সেকেন্ড অফিসার আব্দুল আলীম তাকে বাদিপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি মিটমাট করে নিতে চাপ দেন। অন্যদিকে ছিনতাইয়ের শিকার নারীর পক্ষের লোকজন তার কাছে ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন; কিন্তু তিনি তাতে সম্মত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, থানা থেকে ফেরার পর রাত ৩টার দিকে তার মোবাইল ফোনে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে কল করে জানানো হয় যে, তার অটোরিকশাটি সোবহানিঘাটে রয়েছে, সেখান থেকে তিনি যেন তা নিয়ে যান।
এর কিছুক্ষণ পরই কোতয়ালি মডেল থানার এসআই মিজানুর রহমান আজহার হোসেন উজ্জ্বলের বাসায় যান। তবে গেট বন্ধ থাকায় ঢুকতে না পেরে হোয়াটসঅ্যাপে কল দিয়ে জানান, বিষয়টি সমাধানের জন্য সকালে থানায় না গেলে ছিনতাইকারী হিসেবে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।
পরদিন সকালে তিনি তার ভাই সহ কয়েকজনকে নিয়ে থানায় গেলে এসআই মিজানুর রহমান তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে বিকেলে ছিনতাই মামলার আসামি হিসেবে আদালতে পাঠান। আদালত থেকে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে পরদিন তিনি জামিন লাভ করেন বলে জানান।
কোনোরূপ তদন্ত বা প্রমাণ ছাড়াই পুলিশ জোরপূবর্ক তার ছবি তুলে ছিনতাইকারী হিসেবে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ করে বলেও আজহার হোসেন উজ্জ্বল অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার এবং তার যে সব ছবি প্রকাশ করা হয়েছে তা সরানোর আহ্বান জানান।

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর