বিশেষ প্রতিবেদক, হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো আবু জাহির ও তার পরিবারের সদস্যদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি/৮ মাঘ) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হবিগঞ্জের সিনিয়র স্পেশাল জজ এবং জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম এই আদেশ দেন।
দুদকের উপ-পরিচালক মো এরশাদ মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
আদালত ও দুদক সূত্রে জানা যায়, অ্যাডভোকেট আবু জাহির ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভুতভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
সাবেক এই এমপির বিরুদ্ধে ভূমি দস্যুতা ও চাঁদাবাজী সহ বিভিন্ন অনিয়ম এবং দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ দুদক তদন্ত করছে।
অ্যাডভোকেট আবু জাহিরের নামে ঢাকার গুলশানের ১ কোটি ১৬ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট, হবিগঞ্জ শহরের টাউন হল সড়কে ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা মূল্যের ৫ তলা ভবন, ১৭টি দলিলে কয়েক কোটি টাকার জমি ও অলিপুর শিল্প এলাকায় ২ কোটি ৩৬ লাখ ৮১ হাজার ৭২১ টাকা মূল্যের এ বি মেহজাবিন টাওয়ার স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে।
তার অস্থাবর সম্পত্তির মাঝে আছে, ৮২ লাখ ৩৪ হাজার ২৪০ টাকা মূল্যের জিপ গাড়ি, ৫৬ লাখ ৬৮ হাজার ৪৬৮ টাকা মূল্যের প্রাইভেট কার, পূবালী ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকের একটি করে একাউন্ট ও কৃষি ব্যাংকের দুটি একাউন্টে ৬৫ লাখ টাকার মতো স্থিতি।
এছাড়াও সাবেক এমপি আবু জাহিরের আমেরিকান লাইফ ইন্সুরেন্স পলিসি, তার ছেলে ব্যারিস্টার ইফাত জামিলের ব্যাংক হিসাব ও পলিসি, লন্ডন প্রবাসী মেয়ে আরিফা আক্তার মুক্তির ব্যাংক হিসাব ও পলিসি, স্ত্রী আলেয়া আক্তারের পলিসি, ছোট ভাই আল আমিন ও বদরুল আলমের ব্যাংক হিসাব ও পলিসি রয়েছে।
দুদুকের উপ পরিচালক মো এরশাদ মিয়া জানান, দুদক এখনও অভিযোগ তদন্ত করছে। আদালতের আদেশ হাতে আসার পর সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।