মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, হাওরের মাছ প্রকৃতির দান। প্রকৃতির বিরুদ্ধাচারণ করে মাছের প্রজননের জন্য নির্দিষ্ট সময় না দিয়ে মানুষ ভোক্তা ও আহরণকারী হিসেবে অত্যন্ত দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর/৮ অগ্রহায়ণ) সিলেটে মৎস্য অধিদপ্তর আয়োজিত ‘হাওরে মৎস্যসম্পদ রক্ষায় স্টেকহোল্ডারস্ কনসাল্টেশন’ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসি এবং মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মৎস্য অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান। এছাড়া হাওর বেষ্টিত ৭ জেলার জেলা প্রশাসক, তাদের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা এবং অংশীজনেরা অংশগ্রহণ করেন।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, হাওরে মাছের গতিপথে অপরিকল্পিত বাধ ও রাস্তা নির্মাণের ফলে মাছের বিচরণ ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করা হয়েছে। নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ ধরে দেশীয় প্রজাতিগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে।
যারা মাছ ধরছেন তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ পেশায় যারা নিয়োজিত তাদের প্রতি অনেক অন্যায় করা হয়েছে। যারা সত্যিকারের মৎস্যজীবী তাদেরকে মূল্যায়ন করা হয়নি। এতদিন জলমহাল যাদের কাছে ইজারা দেওয়া হয়েছে তারা অতি মুনাফার লোভে মাছের ক্ষতি করেছে। এজন্য প্রকৃত মৎস্যজীবীদের স্বার্থ সংরক্ষণে দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষা করা অত্যন্ত দরকার।
উপদেষ্টা আরো বলেন, মাছ ধরা পেশাকে আধুনিকায়ন করতে হবে, যাতে তারা সম্মানের সাথে বাঁচতে পারেন।
মাছের প্রজননকালীন মাছ ধরতে নিষিদ্ধের বিষয়ে হাওর অঞ্চলে বিলবোর্ড এবং রেডিও-টেলিভিশনে এ সংক্রান্ত প্রচারণা চালানো যেতে পারে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এসময়ে হাওর অঞ্চলে মাছ ধরার নিষিদ্ধের পাশাপাশি পর্যটনও সমন্বয় করা যেতে পারে।-পিআইডি সিলেট