মেঘনা রিভার ফোর্স কোম্পানি আজমিরীগঞ্জ মুক্ত করে ৮ ডিসেম্বর

  • আপডেট টাইম : December 07 2021, 18:01
  • 349 বার পঠিত
মেঘনা রিভার ফোর্স কোম্পানি আজমিরীগঞ্জ মুক্ত করে ৮ ডিসেম্বর

আজমিরীগঞ্জ প্রতিনিধি : ভাটির জনপদ আজমিরীগঞ্জ মুক্ত দিবস ৮ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে মেঘনা রিভার ফোর্সের কোম্পানি কমান্ডার ফজলুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে ৭ ঘণ্টা সম্মুখযুদ্ধ শেষে হবিগঞ্জের তৎকালীন এই থানা সদর পাকিস্তানি হানাদারদের কবলমুক্ত হয়।
আজমিরীগঞ্জ থানা সদর মুক্ত হওয়ামাত্র বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মুহুর্মুহু গুলি ও ‘জয়বাংলা’ স্লোগানে চারদিক মুখরিত হয়ে উঠে। মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস নিতে নিতে ‘জয়বাংলা’য় একাত্ম হন অগণিত মানুষ। ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন বীর সন্তানদের। সেদিনের স্মৃতি এখনও অনেকের চোখে জ্বল জ্বল করছে।
কমান্ডার ফজলুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে গরুরহাট ময়দান ও থানা কম্পাউডে উত্তোলন করা হয় লালসবুজের পতাকা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, তৈয়বুর রহমান খান বাচ্চু, নূর ইসলাম মুন্সি (ব্রিটিশ সেনাবাহিনী প্রাক্তন সদস্য), নেত্রকোনার সারফান আলী, আব্দুর রাজ্জাক মিয়া, আক্কাছ মিয়া, মর্তুজ আলী, আক্কেল আলী, আব্দুস সোবহান ও সালাহউদ্দিন মিয়া সহ শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা। দাশ পার্টির যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ চৌধুরী, রাশেদুল হাসান চৌধুরী, আব্দুর রশিদ এবং বানিয়াচংয়ের মোহাম্মদ আলী মমিনও এসে মেঘনা রিভার ফোর্সের সঙ্গে বিজয় উল্লাসে মিলিত হন।
শুধু আজমিরীগঞ্জ থানাই নয়, ফজলুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে পাকহানাদার, আলবদর ও রাজাকারদের হটিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা পার্শ্ববর্তী ইটনা, অষ্টগ্রাম, নিকলি, কমলাকান্দা এবং সুনামগঞ্জের বিশম্ভরপুরসহ বেশ কয়েকটি থানা সম্মুখ সমরে জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করে মুক্ত করেন। অনেক রাজাকার, আলবদর, পাকসেনা, পুলিশ ও মিলিশিয়া তাদের নিকট আত্মসমর্পণ করে।