নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রায় একযুগের চলমান কর্মসূচি। মাঝখানে করোনা বিপর্যয়ে এক বছরের বিরতি। অতঃপর আবার শুরু মহান বিজয়ের মাসবরণে বিজয় শোভাযাত্রা। এক সময় অন্য সংগঠন আয়োজন করতো; কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ডিসেম্বরের প্রথমদিনে সিলেটবাসী এই আনন্দযজ্ঞে মিলিত হচ্ছেন।
আগের মতোই বুধবার সকাল ঠিক সাড়ে ৯টায় সিলেটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি বের হয়। একেবারে সামনে লালসবুজের পতাকা নিয়ে বিজয়ের নায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এরপর দীর্ঘ সারিতে সববয়সের মানুষ। তবে সংখ্যার দিক দিয়ে নতুন প্রজন্মই বেশি। তাই উদ্দেশ্য সার্থক। পুলিশের বাদক দলের সুর-ছন্দের তালে তালে প্রতিটি রক্তকণা দুলছিল।
সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদমিনার পর্যন্ত দীর্ঘপথ। পথের দুধারে অগণিত মানুষের ভালবাসা আর ভাললাগার চাহনি। হাত নেড়ে নেড়ে সম্ভাষণ। ‘জয়বাংলা’ বলে অভিবাদন জানালেন কেউ কেউ। হাত উঁচিয়ে স্লোগানও তুললেন।
বিজয় শোভাযাত্রার সমাপ্তি ঘটে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদমিনারে। এর আগে জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আবেগ-উচ্ছ্বাস জড়ানো শব্দমালায় সমবেত সকলকে শুভেচ্ছা জানালেন-নতুন প্রজন্মকে গর্ব আর গৌরবের ইতিহাস শোনালেন, সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড মোশারফ হোসেন, পুুলিশের উপ মহাপরিদর্শক মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, মহানগর পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদউদ্দিন পিপিএিম, আওয়ামী লীগের মহানগর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, ভারপ্রাপ্ত জেলা সভাপতি আশফাক আহমদ, মহানগর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল। মঞ্চে অন্যদের মধ্যে আরও ছিলেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী দেবজিৎ সিনহা, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ, অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী ও সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতা-কর্মী-সংগঠকরা উপস্থিত ছিলেন।