মাধবপুর প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের মাধবপুরে একটি জায়গার ব্যাপারে আদালত থেকে রিসিভার নিয়োগের প্রায় ৫মাস পর সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার এই সাইনবোর্ড লাগানো হয়। পুলিশের বলছে, আদালতের আদেশের কপি পেয়েই বিরোধপূর্ণ জায়গায় সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে। অন্যদিকে বাদির আইনজীবী জানিয়েছেন, প্রায় ৬ মাস পূর্বে আদালত রিসিভার নিয়োগ করে। পরে বাদি জজ কোর্টে রিভিশন করেন।
মামলার বাদি মিনারা খাতুনের স্বামী মো জানু মিয়া জানান, গাংগাইল মৌজার জেএল নং ৩৬৬ এর মনতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পাশে তার শ্বশুরের একটি জায়গায় তিনি ঘর নির্মাণ অনেকদিন যাবৎ বসবাস করছিলেন। জায়গাটি নিয়ে বহরা ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের আব্দুল ওহাব মিয়ার ছেলে মো আতিকুর রহমান সেলিমের সঙ্গে আদালতে মামলা চলছে। প্রায় ৬ মাস পূর্বে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাধবপুর থানার ওসিকে এই জায়গায় রিসিভার নিয়োগের আদেশ জারি করেন।
জানু মিয়া আরও জানান, পরবর্তী সময়ে তার আইনজীবীর মাধ্যমে হবিগঞ্জ জজ কোর্টে রিভিশন করা হয়; কিন্তু মনতলা পুলিশ ফাঁড়ির দারোগা মঞ্জু গত ২৫ নভেম্বর তার ঘরে তালা দেন, মালামাল ক্রোক করেন এবং ঘরের সামনে একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে দেন।
জানু মিয়া জানান, তিনি পরিবার নিয়ে এখন অন্যর বাড়িতে থাকছেন। তার মেয়েদের পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার উপক্রম।
জানু মিয়ার আইনজীবী জানান, আদালত ৬/৭ মাস পূর্বে এই জায়গার রিসিভার নিয়োগ করেন। পরে জজ কোর্টে রিভিশন (৭৯/২১ ইং) করা হয়, যা গত ২৪ নভেম্বর জেলা ও দায়রা জজ আদাল শুনানি শেষে রিভিশন গ্রহণ করে বিচারক নিম্ন আদালতের নথি তলব করে আদেশ দেন।
মাধবপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, আদালতের নির্দেশের কপি পেয়ে সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে। পুনরায় আদালত আদেশ জারি করলে সাইনবোর্ড খুলে নেওয়া হবে।
বহরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান আরিফ জানান, সাইনবোর্ড টানানোর বিষয়ে তাকে কেউ কিছু বলেনি।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস পূর্বে এই জায়গার রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছিল। পরে প্রতিপক্ষের আইনজীবী জজ কোর্টে রিভিশন করেন, যা চলমান আছে।