নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেট শাখা আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, হাতি রক্ষায় বন বিভাগের ব্যর্থতা ক্ষমার অযোগ্য। দেশে নির্বিচারে বন্যহাতি হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
শেরপুর ও পার্বত্য চট্রগ্রাম অঞ্চলে গত এক সপ্তাহে পাঁচটি হাতি হত্যার প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদমিনার চত্বরে বাপা এই সমাবেশের আয়োজন করে।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী অধিকার বিষয়ক সংগঠন প্রাধিকারও এতে যুক্ত হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, বাপা সিলেটের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট ই ইউ শহিদুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দূল করিম কিম। প্রাধিকারের সভাপতি তাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, প্রত্নতত্ব সংগ্রাহক ডা শাহজামান চৌধুরী বাহার, সাংস্কৃতিক সংগঠক এনামুল মুনির এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড আ ফ ম জাকারিয়া।
এছাড়া সংহতি প্রকাশ করেন, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ, প্রাণী অধিকার কর্মী অরুপ শ্যাম বাপ্পী, ভুমিসন্তান বাংলাদেশের আশরাফুল কবির, সমাজসেবী মঞ্জুর আল বাছেত, সোসাস আহবায়ক ওয়াজি আহমেদ, সামাজিক সংগঠন ঊষার আহ্বায়ক তমিশ্রা তিথি ও প্রাধিকার সম্পাদক নিলোতপল দে।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন থেকেও প্রকৃতি ও পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি করছে এক শ্রেণির মানুষ, যাদের সহযোগিতা করছে বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা। দেশে জনসংখ্যার চাপ থাকলেও বন্যপ্রাণীর বাসস্থান ধ্বংস করাটা বন বিভাগের দুর্বল ব্যবস্থাপনার ফল।
তারা বলেন, সম্প্রতি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও শেরপুরের শ্রীবরদীতে বৈদ্যুতিক শকে এবং কক্সবাজারের চকরিয়ায় শিকারিদের গুলিতে একাধিক হাতির মৃত্যু নিছক মৃত্যু নয়, ঠাণ্ডা মাথায় খুন, যা দেশের প্রকৃতি ও পরিবেশের জন্য চরম হতাশার সংবাদ।
২০১৯ সালে আইইউসিএনের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে, হাতির সংখ্যা ২৬৩টি। অথচ গত দুই বছরে দেশে প্রায় অর্ধশত হাতি হত্যা হয়েছে। আর এত সপ্তাহে পাঁচটি, যা কোনভাবে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। দেশে নির্বিচারে হাতি হত্যার ঘটনার তাই বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। রাষ্ট্রকে শুধু জলবায়ু ফান্ডের টাকার জন্য হুতাসন করলে হবে না, দেশের জীববৈচিত্র রক্ষায়ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।