নবীগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ায়ম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রাপ্ত হাবিবুর রহমান হাবিব উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা হেভেন চৌধুরী হত্যার মামলার প্রধান আসামি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অপদস্ত করার ও রামদা দিয়ে টুকরো টুকরো করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
২০১৪ সালের ৩ মার্চ হেভেন চৌধুরীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ব্যাপারে মামলা হয় হাবিবুর রহমান হাবিবকে প্রধান আসামি করে। মামলাটির বিচারকাজ শেষ পর্যায়ে আছে।
২০১০ সালের ৭ মার্চ হাবিবুর রহমান হাবিব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে সরকারি জলমহালের ইজারা আদায়ে বাঁধা সৃষ্টি করেন। কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যান। তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বর্তমানে সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সুলতানা ইয়াসমীনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। প্রাণনাশেরও হুমকি দেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
হাবিবুর রহমান হাবিবের বিরুদ্ধে প্রবাসীর সহায়-সম্বল দখল, জাল দলিল সৃষ্টি করে প্রবাসীর জমি বিক্রি এবং ২০১৫ সালের পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করার অভিযোগও আছে।
তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলাও রয়েছে। ব্রাক্ষণবাড়ীয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা গ্রামের মৃত আবুল খায়েরের ছেলে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জানান, তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সোহা এন্টারপ্রাইজের কাছে নবীগঞ্জের বিবিয়ানা বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের পুরাতন কন্টেইনার বিক্রির জন্য হাবিবুর রহমান হাবিব চুক্তি করেন এবং সেখানে দরপত্র দেওয়ার জন্য ২০ লাখ টাকা নেন; কিন্তু কন্টেইনার দেননি। টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না। এখন টাকার কথা অস্বীকার করছেন। তিনি হবিগঞ্জের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকে বিষয়টি জানালেও কোন ফল পাননি।
একপর্যায়ে সাইফুল ইসলাম ব্রাক্ষণবাড়ীয়ার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেন আশুগঞ্জ থানা পুলিশকে। পুলিশ অভিযোগের সত্যতা পেয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে আদালত হাবিবুর রহমান হাবিবের নামে সমন ইস্যু করলে তিনি আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী জানান, গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়টি তাদের আগে জানা হলে প্রার্থীতালিকা থেকে হাবিবুর রহমান হাবিবের নাম বাদ দেওয়া হতো।
নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমেদ বলেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।