নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সরকারের পরিকল্পনায় সিলেটের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আওতায় সিলেট-ঢাকা ৬ লেনের মহাসড়ক হবে অত্যাধুনিক, যা দিয়ে চলতে গিয়ে প্রবাসীরা বুঝতেই পারবেন না দেশে না বিদেশে আছেন। ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরও পূর্ণাঙ্গ রূপ লাভ করছে।
শনিবার সকালে ভার্চুয়ালি সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প ও সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক পৃথক এসএমভিটিসহ ৬ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী স্বাধিকার আন্দোলনে বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্ত করতে ও মহান মুক্তিযুদ্ধে সিলেটের প্রবাসীদের অবদান স্মরণ করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখছে।
শেখ হাসিনা একটি ধ্বংসস্তুপের উপর কাঙ্ক্ষিত স্বদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগ তুলে ধরে বলেন, দেশ যখন সমৃদ্ধির দিকে অগ্রসর হচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
তিনি স্বাধীনতা পরবর্তী নাশকতা ও পঁচাত্তর পরবর্তী সামরিক স্বৈরশাসনকালের উন্নয়নবিরোধী কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বলেন, এতকিছু পরও বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বুকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে।
এজন্যে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশের সাধারণ মানুষ ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবদানের কথা উল্লেখ করে সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীত হলে বাংলাদেশ সড়ক যোগাযোগ ক্ষেত্রে আরো এগিয়ে যাবে।
তিনি সাম্প্রতিক নানা ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এসব কর্মকাণ্ড পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হচ্ছে। তাই দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে।
সবাই করোনার টিকা পাবেন বলেও প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিত করেন।
শেখ হাসিনা ঘোঘণা করেন, বাংলাদেশ আর ভিক্ষায় বা কারো দয়ায় চলবেনা-বাংলাদেশ নিজের পায়ে দাঁড়াবে।
এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নচিত্র তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী সিলেটের উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক। তাই বিভাগবাসীর স্বপ্ন একের পর এক পূরণ হচ্ছে।
তিনি সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীত করার উদ্যোগকে সিলেটবাসীর জন্যে প্রধানমন্ত্রীর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তি ও মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সিলেট প্রান্ত থেকে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন, সিলেট-৩ আসনের সাংসদ হাবিবুর রহমান হাবিব, হবিগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ গাজী শাহনেওয়াজ মিলাদ ও সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট-২ আসনের সাংসদ মোকাব্বির খান, সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো খলিলুর রহমান, পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমদ, মহানগর পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম, আওয়ামী লীগের মহানগর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, ভারপ্রাপ্ত জেলা সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মহানগর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল, সাবেক মহানগর কমান্ডার ভবতোষ রায় বর্মন রানা, সিলেট চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এ টি এম শোয়েব ও সহ সভাপতি তাহমিন আহমদ সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর প্রধান ও শ্রেণিপেশার নেতৃবৃন্দ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একই অনুষ্ঠানে পটুয়াখালির নবনির্মিত অত্যাধুনিক এবং দৃষ্টিনন্দন পায়রা সেতুও উদ্বোধন করেন।