পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক যথেষ্ট শক্তিশালী। এ সম্পর্ক আরো বৃদ্ধির জন্যে তুরস্কের বর্তমান সরকার খুবই আগ্রহী। এ ব্যাপারে দুই দেশের আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেছেন, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও ধর্মীয় বিশ্বাসের মিল থাকায় তুরস্ক বাংলাদেশের মানুষের কাছে সুপরিচিত একটি দেশ। অনেক বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রী বৃত্তি নিয়ে তুরস্কে লেখাপড়া করতে যান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী বাংলাদেশের কন্সট্রাকশন সেক্টর, কমিউনিকেশন সেক্টর ও রিনিউয়েবল এনার্জি সেক্টরে তুরস্কের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি বলেন, তুরস্ক কৃষি, পর্যটন, স্বাস্থ্য ইত্যাদি খাতেও অনেক উন্নত। বাংলাদেশে এসব খাতে তুরস্ক বিনিয়োগ করতে পারে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতা নিয়ে তুরস্ক সিলেটে একটি আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল স্থাপন করতে পারে বলে তিনি অভিমত রাখেন।
শুক্রবার রাতে মহানগরীর মির্জজাঙ্গালে হোটেল নির্ভানা ইনে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে সিলেটে বিনিয়োগের সুবিধাদি নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি বক্তব্য রাখছিলেন।
এতে সম্মানিত অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তাফা ওসমান তুরান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, তুর্কিশ কো-অপারেশন এন্ড কো-অর্ডিনেশন এজেন্সির ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর আহমেদ ফারুক মোস্তাকগলু। অতিথি ছিলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও তুরস্কের অনারারি কনসাল জেনারেল সালাউদ্দিন কাশেম খান। সভাপতিত্ব করেন, এসসিসিআই সভাপতি আবু তাহের মো শোয়েব।
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তাফা ওসমান তুরান বলেন, আধ্যাত্মিক ও সম্ভাবনাময় নগরী হিসেবে সিলেটের জন্য তুরস্কের জনগণের ভালোবাসা অন্যরকম। আগামীতে সিলেটে বিনিয়োগের পরিকল্পনা তুরস্কের রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের বাণিজ্যিক সম্পর্ক করোনা মহামারির মধ্যেও খুব একটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যথেষ্ট পরিশ্রমী। এখানে বর্তমানে স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ বিরাজ করছে। যার ফলে তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আগামীতে আরো বৃদ্ধি পাবে।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু তাহের মো শোয়েব বলেন, সিলেট বিনিয়োগের জন্যে একটি আদর্শ স্থান। বিশেষ করে শিল্প, পর্যটন, চিকিৎসা ও আইটি খাতে সিলেট অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। এখানে পর্যাপ্ত তেল, গ্যাস ও শিল্প স্থাপনের প্রয়োজনীয় উপকরণ রয়েছে। এসব সম্ভাবনার জন্য সিলেটকে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ‘ইকোনমিক ইঞ্জিন’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তিনি সিলেটে বিনিয়োগের এ সুবর্ণ সুযোগ গ্রহণের জন্যে তুরস্কের বিনিয়োগকারীদের আহবান জানান।
তনিমা আহমেদের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শাবিপ্রবির অধ্যাপক ড ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো আনোয়ার সাদাত, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড মাহমুদুল ইসলাম ও প্রাইভেট হসপিটাল ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা নাসিম আহমেদ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, এসসিসিআই নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জব্বার, আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান ড এম শহীদুল ইসলাম, জেষ্ঠ সহসভাপতি চন্দন সাহা, সহসভাপতি তাহমিন আহমদ, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী, সিলেটের ডাকের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ প্রমুখ।-সংবাদ বিজ্ঞপ্তি