নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকবাল হোসেন ইমাদ ছাত্র শিবিরের সাবেক নেতা উল্লেখ করে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী সাইফুল ইসলাম মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী অনুপ্রবেশকারীদের হাত থেকে দলকে রক্ষার অনুরোধ রাখেন।
সাইফুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ইকবাল হোসেন ইমাদ নিজের স্বার্থের প্রয়োজনে খোলস পাল্টে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। ২০১৮ সালের শেষদিকে তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাসিমকে ‘ম্যানেজ’ করে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ২০১৯ সালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য হন। এ সময় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ করলে তা আব্দুল হাসিম এড়িয়ে যান। সর্বশেষ একই পন্থায় আব্দুল হাসিমকে ‘ম্যানেজ’ করে দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে যান।
অবশ্য সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধেও দুই বছর আগে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদানের অভিযোগ উঠেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, তার বিএনপিতে থাকার কোনো প্রমাণ নেই। প্রতিপক্ষ মিথ্যাচার করছে।
আরও জানান, ইকবাল হোসেন ইমাদ দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়নের খাগাইল গ্রামের মো আব্দুস সালামের ছেলে। ২০০৩ সালে দলইরগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে এম সাইফুর রহমান কলেজে ভর্তি হন। ২০০৪ সাল থেকে জড়িয়ে পড়েন ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে। ২০০৬ সালে দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা ছাত্র শিবির সেক্রেটারির। ২০১০ সালের মার্চে যুক্তরাজ্য যাওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি জামাত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৬ সালের শেষেরদিকে দেশে ফিরেও জামাত-শিবিরের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন ও আর্থিক সহায়তা দেন।
তড়িঘড়ি করে সংবাদ সম্মেলন করে ইকবাল হোসেন ইমাদ বেশ কিছু মিথ্যা তথ্য সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করেন বলেও সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইকবাল হোসেন ইমাদের একটি দাবি মিথ্যা প্রমাণ করতে বর্ণী গ্রামের আরেক ইকবাল হোসেনের পিতা মাওলানা আব্দুন নূরও ইপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল ইসলামের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূরুল মোস্তাকিন। আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা সামসুল ইসলাম, আকিল উদ্দিন, বাবুল দাস, আপ্তাব উদ্দিন প্রমুখ।