হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় অনুষ্ঠেয় হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ৫ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
তবে নেতাকর্মীদের প্রধান দাবি, জলসুখা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শাহজাহান মিয়ার মনোনয়ন প্রত্যাহার। এ নিয়ে এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
শাহজাহান মিয়া সাবেক বিএনপি নেতা। মাত্র দুবছর আগে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। তার বিরুদ্ধে ইদু মিয়া, এমায়ূন ও আব্দুল মন্নান হত্যা, চাদাঁবাজি, ধর্ষণ, জলমহালে লুটপাট, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পুলিশ এসল্ট মামলাসহ ১০/১২টি মামলা রয়েছে। ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর অস্ত্র ও গুলিসহ র্যাব-৯ তাকে গ্রেফতার করে। মনোনয়ন বোর্ডে প্রদত্ত তথ্যে তাকে বর্তমান চেয়ারম্যান বলে উল্লেখ করা হলেও বিএনপি থেকে আগত সংক্রান্ত তথ্যটি ছিলনা।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মুছা মিয়া জানান, মনোনয়ন বোর্ডের কাছে ভুল তথ্য দেওয়ার কারণে বিতর্কিতরা মনোনয়ন পেয়ে যাচ্ছে।
তিনি শাহজাহান মিয়ার মনোনয়ন প্রত্যাহারের দাবি জানান।
দলের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মিজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া জলসুখায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালিকা তৈরির বিষয়ে জানান, শাহজাহান মিয়া ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের তালিকা করে উপজেলায় দেওয়া হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগ দেয় জেলা আওয়ামী লীগের কাছে। মনোনয়ন বোর্ড তার যোগ্যতা বিবেচনা করেই মনোনয়ন দিয়েছে।
এদিকে উপজেলার ৫ ইউনিয়নের মাঝে তিনটিতে মনোনয়ন বঞ্চিত আওয়ামী লীগ নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তারা হলেন, শিবপাশা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আলী আমজাদ তালুকদার ও জলসুখা ইউনিয়নর পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমেদ খেলু। এছাড়া আজমিরীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দলীয় নেতা স্বাধীন মিয়া। এ সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।