নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ত্যাগী নেতাদের অবমূল্যায়নের কারণে সিলেটে বিএনপিতে চরম বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন কমিটিতে অনিয়ম ও গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতির কারণে দল থেকে অনেক ত্যাগী নেতা হারিয়ে যাচ্ছেন। সংগঠনের দুর্দিনে তাদেরকে দলে ফেরাতে নেতাকর্মীরা বিএনপির নীতি-নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
সোমবার দুপুরে সিলেট মহানগরীর মিরাবাজারে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে তিনি এই বক্তব্য রাখেন।
লিখিত বক্তব্যে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, রাজনীতি এখন আর রাজনীতিবিদদের হাতে নেই। কিছু মানুষ মন্ত্রী-এমপি হওয়ার জন্য দলকে ব্যক্তিগত জায়গীর হিসেবে ব্যবহার করছেন। এই সময়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন মূখ্য হওয়ার কথা ছিলো; কিন্তু আমরা সেদিক থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়েছি। আজকে যুব ও তরুণ প্রজন্ম আদর্শহীনতার রাজনীতির কারণে রাজনীতিকে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছে।
তিনি আরও বলেন, যারা রক্ত ও ঘামের বিনিময়ে স্বেচ্ছাসেবক দলকে বিএনপির ভ্যানগার্ড বানিয়েছে সম্প্রতি তাদেরকে বাদ দিয়ে সিলেট জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষোভে অভিমানে জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের অনেক নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
বিএনপির হাইকমান্ডকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দলের আদর্শিক কর্মী যদি হারিয়ে যায় তাহলে শহীদ জিয়ার আদর্শও হারিয়ে যাবে। একই সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবির জন্য যে নেতৃত্বের প্রয়োজন তা আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। বণিক শ্রেণি ও নব্য সুবিধাভোগী চক্রের কাছে দল জিম্মি হয়ে পড়লে দল ও জাতির জন্য তা চরম দুর্ভাগ্যেরে বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। শুধু সিলেট নয়-সমগ্র দেশের ত্যাগী ও পরিশ্রমী নেতাদের প্রতি নীতিনির্ধারকরা যদি দৃষ্টি না ফেরান বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে যাবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, চক্ষু বন্ধ করলেও প্রলয় রোধ করা যায় না। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা সেলিম আহমদ, বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য আহমেদুল হক চৌধুরী মিলু, মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি সুদ্বীপ রঞ্জন সেন বাপ্পু, তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক ফয়েজ আহমদ দৌলত প্রমুখ।