সিডনিতে সংগীত-সন্ধ্যায় যোগ দিচ্ছেন আবিদা সুলতানা ও রফিকুল আলম

প্রকাশিত August 16, 2017
সিডনিতে সংগীত-সন্ধ্যায় যোগ দিচ্ছেন আবিদা সুলতানা ও রফিকুল আলম

সিডনির লিভারপুলে শুক্রবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সঙ্গীত-সন্ধ্যা। বাংলাদেশ থেকে এতে যোগ দিচ্ছেন প্রখ্যাত সংগীত জুটি আবিদা সুলতানা ও রফিকুল আলম। সাথে আরো থাকছেন শফিক তুহিন।
আবিদা সুলতানা শিল্পী জীবনে রবীন্দ্র সংগীত ও নজরুল সংগীতের উপর তালিম নিলেও মূলতঃ আধুনিক গানই বেশি করেন। ‘বিমূর্ত এই রাত্রি আমার’, ‘আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরী’, ‘হারজিৎ চিরদিন থাকবে’, ‘আমি সাত সাগর পাড়ি দিয়ে’ ও ‘আমি জ্যোতিষীর কাছে যাবো’ সহ তার আরও অনেক গান শ্রোতাদের মনকে আলোড়িত করে। বারিন মজুমদার ও ওস্তাদ সগির আলী খান সহ অনেকের কাছে তিনি সংগীতে তালিম নেন। ১৯৭৫ সালে তিনি রফিকুল আলমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
বাংলাদেশের সংগীত জগতে আরেক কিংবদন্তী রফিকুল আলম ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ শিল্প গোষ্ঠীর নেতৃত্বে এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের বিশিষ্ট শিল্পী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অনবদ্য অবদান রাখেন। ১৯৬৭ সালে তিনি রাজশাহী বেতার কেন্দ্রে প্রথম গান করেন। মূলতঃ গানের জন্যই তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা ছেড়ে দেন। এরপর দীর্ঘ পাঁচ দশক ধরে তিনি বাংলাদেশের সংগীত ভুবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বহু পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। তিনি ‘বৈশাখী মেঘের কাছে জল চেয়ে’, ‘আমার বাউল মনের একতারা’, ‘আশা ছিল মনে মনে’ ও ‘জীবনের এই যে রঙিন দিন’ সহ বহু জনপ্রিয় গানের শিল্পী তিনি।
প্রথমে ভারতীয় সংগঠন সিবাম টিমের পরিকল্পনায় প্রয়াত সংগীত শিল্পী কিশোর কুমারের স্মরণে একটি সংগীত সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। তাতে বাংলাদেশী সংগঠন গল্পকথাল্পকে প্রথমবারের মতো কো-হোস্ট হয়ে আয়োজনে অংশগ্রহণ করার আমন্ত্রণ জানানো হয়।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশী অংশটুকু প্রতিনিধিত্ব করছেন টুম্পা জারাহ। তিনি জানান, বাংলাদেশের তিনজন বরেণ্য শিল্পী রফিকুল আলম, আবিদা সুলতানা ও শফিক তুহিন গাইবেন প্রথম পর্বে। পাশাপাশি স্থানীয় শিল্পীদেরও থাকবে বিভিন্ন পরিবেশনা। দ্বিতীয় পর্বে গাইবেন অমিত কুমার ও সুমিত কুমার। তাই এক টিকেটে দর্শক-শ্রোতা পাচ্ছেন দুটি ভিন্ন স্বাদের সুরের মূর্ছনা। বিস্তারিত তথ্যের জন্য ০৪৮১৩৬৬৮৪৪, ০৪৭৯০৯৯৩৭৬ ও ০৪১৩০০৬৮৮৭ এই নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হয়েছে। আয়োজকরা অনুষ্ঠান সফল করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।